একসময় ঘর ছিলো না, ছিলো না জমিও। স্বপ্ন ছিলো একদিন নিজের বাড়ি হবে, যে শান্তির নীড়ে প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেবেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হাতে পেলেন জমি, সঙ্গে নিজের বাড়িও। দেশের জমি ও ভূমিহীন এমন নিঃস্ব মানুষের আজ দুঃখ ভুলে আনন্দে আত্মহারা চাঁদপুরের কচুয়ার ১৭টি পরিবার ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সাচার ইউনিয়নের বজুরীখোলা ও কাদলা ইউনিয়নে দেবীপুর গ্রামে নতুন নির্মাণ করা আধা পাকা ঘরগুলো সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে। সদ্য রং লাগানোয় চকচক করছে। বিদ্যুতের তারও লেগেছে। দীর্ঘ ৬ মাস ধরে স্ত্রী,সন্তান ও পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দে বসবাস করছেন উপকারভোগীরা।
আশ্রয়নের অধিকার,শেখ হাসিনার উপহার এই স্লোগানে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় দেশের অন্যান্য উপজেলার ন্যায় ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে চাঁদপুরের কচুয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা বজুরীখোলা গ্রামে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি ঘরে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা করে ১৫টি পরিবারকে ৩৫ শতাংশ ভূমির উপর নির্মাণ করেন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে কাদলা ইউনিয়নে দেবীপুর গ্রামে ২টি ঘরে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়।
উপকারভোগী পরিবারগুলো হচ্ছে- কামাল হোসেন,মনি আক্তার,রহিমা বেগম,রাবেয়া বেগম,ইউসুফ মিয়া,রাজিয়া খাতুন,সফিক মিয়া,মকবুল হোসেন,বাদশা মিয়া,সুমি আক্তার,সুমি বেগম,আমির হোসেন,রুহুল আমিন,বিল্লাল হোসেন ও শ্যামল চন্দ্র মন্ডল।
বসবাসকারী কামাল হোসেন,সফিক মিয়া ও সুমি আক্তার সহ আরো কয়েকজন উপকারভোগীরা বলেন, কখনো স্বপ্নে ভাবিনী।
এভাবে আমরা স্বপ্নের নীড় পাবো। আমাদের কোনো জমি কিংবা ঘর ছিলো না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সরকারি ঘর ও জমি দিয়ে সহায়তা করেছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।
ইউএনও দীপায়ণ দাস শুভ জানান, ‘আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ মুজিববর্ষে এই শ্লোগান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলার বজরীখোলা গ্রামে খাস জমিতে গৃহহীন, ভূমিহীন ও ছিন্নমূল পরিবারকে দুই শতক জমিসহ ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। ঘরগুলো নির্মিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায়। প্রথম পর্যায়ে ১৫টি পরিবারকে আবাসন ও দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ২টি সরকারি ঘর প্রদান করা হয়।
প্রতিবেদকঃ জিসান আহমেদ নান্নু,১৪ জুলাই ২০২১