চাঁদপুর সদর

ঘরে রান্নার কিছু নেই তাই শাক কুড়াতে গিয়েছিলো সোহাগী!

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শেণির ছাত্রী সোহাগি (ছদ্ম নাম)। ঘরে রান্নার কিছু নেই তাই সেদিন শাক কুড়াতে গিয়েছিলো সোহাগী!

বাবা জন্মের কয়েক বছর পরে তাদের ফেলে চলে গেছেন। মা নারায়গঞ্জে গার্মেন্টস কর্মী। বাবা-মা কাছে না থাকায় ‘নুন আনতে পানতা ফুরায়’ নানীর বাড়িতেই তার বসবাস। নানীর অভাব-অনটনের সংসার। ‘ঘরে তরকারি নাই তাই শাক কুড়াতে গিয়েছিলো মাঝে মাঝে পাড়া-প্রতিবেশীর বাগান, ক্ষেত থেকে শাক-লতাপাতা কুড়িয়ে আনতে হয় খাবারের বাড়তি যোগান দিতে।

অন্যান্য দিনের ন্যায় গত ৮ আগস্ট সোমবার স্কুল ছুটি শেষে সোহাগি বান্ধবীদের নিয়ে পাশের গাজী বাড়ির বাগানে লতি কুড়াতে যায় রান্না করে খাবে বলে।

সেখানে স্থানীয় মজিদ গাজী (৫০) ওরফে মইজ্জা লতি (কচুর শেকড়) কুড়াতে আসা ৪ শিশুকে ‘কু-প্রস্তাব’ দেয়। তারা কুপ্রস্তাবে ও রাজি না হলে মইজ্জা নিজেই ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীর শরীর থেকে ‘জোরপূর্বক পোষাক খুলে ফেলে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে।’

এসময় সোহাগী ও তার সহপাঠিদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে ‘মইজ্জা দৌড়ে পালিয়ে যায়’।

এভাবেই ৫০ ঊর্ধো এক লম্পট বুড়োর ধর্ষণের চেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়ার বিবরণ দিলেন বালিয়া ইউনিয়নের এ শিশু।

এ ঘটনার কথা একে একে পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ‘ধামাচাপা’ দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় একটি কু’চক্রি মহল।

শিশু সোগাগী আরো জানায়, এ ঘটনার পরে সে বিদ্যালয়ে যেতে ‘ভয়’ পাচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মজিবুর রহমান গাজী অরফে মইজ্জা বলেন, ‘এটি মিথ্যা ও বানোয়াট ঘটনা। আমার বয়স ৮০ বছর, আমার মান সম্মান খুন্ন করার জন্য এ ঘটনা সাজানো হয়েছে।’

আশিক বিন রহিম : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৮:৩০ পিএম, ১০ আগস্ট ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ

Share