ঘন কুয়াশায় চাঁদপুর-ঢাকা নৌপথে লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন

ঘন কুয়াশায় চাঁদপুর-ঢাকা নৌপথে লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে বাল্কহেডসহ ছোট নৌযান। বিআইডব্লিউটি কর্তৃপক্ষ সন্ধ্যার পর থেকে এসব ছোট নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। এতে ঘন কুয়াশার মধ্যে বিঘ্ন হচ্ছে লঞ্চ চলাচল।

চাঁদপুর-ঢাকা নৌপথে প্রায় ২৫টি লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করছে। শীতের এ তীব্রতায় ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে লঞ্চ যাত্রী থেকে শুরু করে লঞ্চ মাস্টারদের নানা জটিলতা পোহাতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে লঞ্চ ছেড়ে গেলেও গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিলম্বে। এদিকে যাত্রাপথে বাল্কহেড ও ছোট নৌযানগুলো দেখতে না পেয়ে নানা দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে লঞ্চগুলোকে।

জমজম-৭ লঞ্চের মাস্টার সাহিদুল ইসলাম জানান, লঞ্চ চলাচলে ছোট নৌযানগুলো বাধা তৈরি করছে। বালুবাহী বাল্কহেড, ছোট ছোট কার্গো জাহাজ, ট্রলার ও মাছ ধরার নৌকা রাতে ঘন কুয়াশার মধ্যে দেখা যায় না। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে শঙ্কায় থাকতে হয় লঞ্চ মাস্টারদের।

জমজম -১ লঞ্চের মাস্টার শহীদুল্লাহও জানান একই কথা।

লঞ্চ মালিক সমিতির প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার বলেন, রাতে যারা বাল্কহেড চালাচ্ছেন তাদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই। তাই তারা সঠিকভাবে বাল্কহেড চালাতেও পারেন না। যে কারণে লঞ্চ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।

চাঁদপুর বিআইডব্লিউটি-এর পরিবহন পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, দৈনিক ৫০টি লঞ্চ ঢাকা-চাঁদপুর নৌপথে যাওয়া আসা করে। রাতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলের কারণে ঘন কুয়াশায় বিঘ্নতা তৈরি হচ্ছে লঞ্চ চলাচলে। এ বিষয়ে অবহিত করে নৌ পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

স্টাফ করেসপন্ডেট, ৭ জানুয়ারি ২০২৩

Share