চাঁদপুর শহরে এখন যানজট যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে দাড়িয়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে শহরের সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ব্যস্ততা বেড়েছে শহরের ছোট-বড় মার্কেটগুলোতে। ফলে এবারও যথারীতি যানজট শুরু হয়ে গেছে।
বিশেষ করে ব্যস্ততম মোড়গুলোতে দিন যত যাচ্ছে, ততই অসহনীয় হয়ে উঠছে ভোগান্তির যানজট। ট্র্যাফিক পুলিশ তথ্য মতে, ঈদ উপলক্ষে শহরে প্রচুর মানুষ কেনাকাটা করতে আসছে। অসংখ্য সিএনজি ও রিক্সা শহরের ভেতর ঢুকে পড়েছে। এ কারণে শহরে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
বিশেষ করে শহরের কালীবাড়ি মোড়, পালবাজার, চিত্রলেখার মোড়, ছাড়াবাণির মোড়, মিশন রোড ও বাসস্ট্যান্ড যানজটের মাত্রা বেড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুন) শহরের ওয়ারলেস থেকে কালিবাড়ি পর্যন্ত সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা ও তীব্র যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন শহরমুখী কর্মমুখর মানুষগুলো। এসময় অনেককেই অপেক্ষার প্রহর শেষে বিরক্ত হয়ে শহরের বাস্ট্যান্ড থেকে ওয়ারলেস বাজার পর্যন্ত তীব্র যানজট দেখায়। এতে করে সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ পহাতে হয়েছে।
একদিকে ঘন যানজট, অন্যদিকে তীব্র গরমে মানুষ যেনো দম ফেলার সযোগ পাচ্ছে না। অনেকেই যানজটের কারনে অটোরিক্সা ও সিএনজি থেকে নেমে পায়ে হেটে যেতে দেখা গেছে।
অপরদিকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে দফায় দফায় যানজট লেগে যাচ্ছে। অন্যদিকে ইদানিং শহরে অটোরিক্সা এবং সিএনজির উপস্থিতিও কয়েকগুন বেড়েছে। এ কারণে সড়কগুলোতে এখন সিএনজি-রিক্সা গিজগিজ করছে। এছাড়া মানুষের বিপুল আগমনের কারণে মার্কেট গুলোতে আশপাশ এলাকা দিনের বেশির ভাগ সময় প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। সন্ধ্যার সময় এসব এলাকা কিছুটা ফাঁকা হলেও ইফতারির এক ঘণ্টা পর আবারও জমজমাট হয়ে উঠছে। ঈদে সামনে রেখে কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছে মানুষ। ফলে তখনও যানজট দেখা দিচ্ছে ওইসব এলাকায়।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র সিদ্দিকুর রহমান ঢালী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘চাঁদপুর শহরে অবৈধ অটোরিক্সা বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। ঈদকে সামনে রেখে যাতে শহরের যানজট লেগে না থাকে, তারজন্য আমরা শহরের ভিন্ন স্থানে স্কাউটস সদস্য রেখেছি। চাঁদপুর শহরে এখন ২ হাজার অটোরিক্সা চলছে। দু’মাস পর পুনরায় ২হাজার অটোরিক্সার নবায়ন করা হবে। এর বাইরে আমরা আর কোন রেজিস্ট্রেশন করবো না।
‘এছাড়া ঈদের আগে আমাদের যানজট নিরসনে যা করার আমরা করবো। প্রয়োজন হলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম