চাঁদপুর

চাঁদপুরে নিখোঁজের ১০ দিন পর যুবতীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ টহলরত অবস্থায় শহর থেকে পরিচয়হীন মানসিক প্রতিবন্ধী যুবতীকে নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর উদ্বার করেছে। নিখোজ হওয়ার পর মানসিক প্রতিবন্ধীকে খুজে পেয়ে পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে তার পরিবারের সন্ধান করতে পেয়ে পরিবারের কাছে তাকে পৌঁছে দিয়ে মানবতার পরিচয় দিয়েছেন।

চাঁদপুর শহরের চেয়ারম্যানঘাট এলাকা থেকে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ গত শুক্রবার (৯ নভেম্বর) রাতে টহলরত অবস্থায় মানসিক প্রতিবন্ধী যুবতীকে পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়ে আসে।

যুবতী তার নাম সাথী বলে জানান এবং ফ্যাল-ফ্যালিয়ে হাসতে থাকে। সে হাসে আর বলে বাড়ী রামগঞ্জ। পিতা-মাতার নাম বলতে পারেনা। পিতা-মাতা ছোট বেলায় মারা গেছে। সে হাসে আর বলে তাকে এক জন পালক লালন-পালন করেছে। তার নাম সাথী নয়, তার প্রকৃত নাম সুমী।

চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফজলুর রহমান ও মহিলা পুলিশ সদস্য লাইলী বেগম গৃহবধূ সুমীর পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তার অভিভাবকদের কাছে রোববার রাত সাড়ে ৭টায় সুমীকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইবরাহিম খলিলের নির্দেশে চাঁদপুর শহর থেকে উদ্ধার হওয়া মানসিক প্রতিবন্ধী গৃহবধূ সুমী (২১)কে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দেনায়েতপুর গ্রামে গিয়ে তার ননদ মরিয়ম জাহান রত্নার কাছে হস্তান্তর করে। সুমির পরিবার তাকে পেয়ে আনন্দিত হন।’

জানা যায়, রত্নার স্বামী মোঃ মিজানুর রহমান খুন হওয়ার পর রত্না তার ভাই আবু সাঈদ সুজন ও তার স্ত্রী সুমীসহ একত্রেই দেনায়েতপুর গ্রামে বসবাস করতেন। গত ৩ বছর পূর্বে সুমীর স্বামী রত্নার ভাই আবু সাঈদ সুজন বাহরাইন চলে যান চাকরি করতে। এরপর থেকেই সুমী ক্রমান্বয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে যান।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইবরাহিম খলিল বলেন, ‘আমাদের মডেল থানার পুলিশ প্রতিবন্ধী নারীকে চাঁদপুর শহর থেকে উদ্ধার করার পর মডেল থানা হেফাজতে রাখা হয়।
পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর নিয়ে তার ঠিকানা কিছুটা নিশ্চিত হয়ে মহিলা পুলিশের সহযোগিতায় মডেল থানার এস আই মো. ফজলুর রহমান তাকে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ এলাকায় সুমীর স্বামীর বড় বোন মরিয়ম জাহান রত্নার কাছে পৌছে দেন।’

প্রতিবেদক: শরীফুল ইসলাম

Share