শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একজন গ্র্যাজুয়েটকে তার সিলেবাস পড়ানোর পাশাপাশি অন্যান্য ভাষা শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, আইসিটি এবং উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন তাই শেখানো হবে। কর্মক্ষেত্রের কেউ যেন বলতে না পারে তুমি এটা পার না, ওটা পার না। তার যদি চাকরি না হয় তারপর তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি চাকরি করবেন, নাকি উদ্যোক্তা হবেন।
বুধবার রাজধানী জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে কোডার্স ট্রাস্ট বাংলাদেশ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য যে কর্মদক্ষতার প্রয়োজন তারা তা অর্জন করতে পারে না। এজন্য অনেক গ্র্যাজুয়েট হতাশ হয়ে পড়ে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির পর যখন আমরা বুঝতে পারছিলাম না, কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাব, ঠিক তখন কোডার্স ট্রাস্ট আমাদের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করে এবং ওই সময় প্রায় ১০ হাজার শিক্ষককে তারা প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এজন্য আমি কোডার্স ট্রাস্টকে ধন্যবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, গেমিং, কালচার, বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা শেখালে তারা বেশি মনোযোগী হয় এবং দ্রুত ধরতে পারে। এজন্য ‘হাসিনা এন্ড ফ্রেন্ডস’ নামে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ কর্মসূচি চলছে। সামনে আরও বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।
পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে আর সারা দেশে ৭০ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীকে নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করেছে কোডার্স ট্রাস্ট। এক্ষেত্রে তারা আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।
ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের অগ্রযাত্রায় কোডার্স ট্রাস্ট যে কাজ করে যাচ্ছে তা অব্যাহত রাখতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে কোডার্স ট্রাস্টের ফাউন্ডার ও সিইও আবদুল আজিজ, আমেরিকান দূতাবাস, ডিসকোভারি এডুকেশন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কোডার্স ট্রাস্ট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন এমন দুইজন তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
টাইমস ডেস্ক/১৫ জুন ২০২৩