হাজীগঞ্জ

হাজীগঞ্জে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষক কারিগররা

হেমন্তের বৃষ্টির পর বইছিল শীতল হাওয়া। এখন অনুভূত হচ্ছে শীতল পরশ। মনে হচ্ছে, এবার শীত আসছে অনেকটা আগে আগেই। ঘরে লেপ বানাতে যাচ্ছে অনেকে। কেউ বানাচ্ছে নতুন লেপ। কেউ পুরনো লেপের তুলার সঙ্গে তুলা কিনে ভরিয়ে ‘রিকন্ডিশন’ করে নিচ্ছে।

হাজীগঞ্জ বাজারসহ পল্লী এলাকা ঘুরে দেখা যায় হঠাৎ করে শীতের আমেজে লেপ-তোষক বানানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগররা। বিভিন্ন ধরনের রুই তুলা পিটিয়ে লেপের খোলসের মধ্যে বড় বড় সুই দিয়ে সেলাই দেয় লেপ-তোষক। আর এগুলো বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে চার হাজার টাকা করে।

তবে এখানকার কারিগরদেও অভিমত এখন আর সহজে কেউ লেপ বানায় না। বেশিরভাগ মানুষ কম্বল কিনছে। উচ্চ মধ্যবিত্ত ও বিত্তশালীদের ঘরে কম্বল হয়েছে স্ট্যাটাস সিম্বল। তারপরও কিছু লোক এখনও লেপ ব্যবহার করে বিধায় বছরের শুরুতে একাধিক লেপ- মজুদ করে রাখি।

লেপ বানানোর পাশাপাশি তোষক বানানো বেড়ে যায় শীতের আগে। একটা সময় বিয়ের অনুষ্ঠানের পওে নতুন জামাইকে লেপ-তোষক, চাদর,বালিশ- কোলবালিশ দেয়ার প্রচলন ছিল। আজ আর সে প্রথা তেমনটা নেই। তবে এই খরচটা চলে আসে পরোক্ষভাবে। বাসর সাজাতে ফুল দিয়ে খাট সাজাতে হয়। তখন বিছানায় দরকার পড়ে নতুন জিনিস। এই জায়গাটিতেও এখন আসন করে নিয়েছে উন্নতমানের কম্বল।

বিভিন্ন ধরনের রুই দিয়ে লেপের দাম এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে। শিমুল তুলায় লেপ বানানোর খরচ বেশি তাই এগুলো বিক্রি হচ্ছে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে। ক’বছর ধরে গার্মেন্ট কোম্পানির ঝুট দিয়ে লেপ বানানো শুরু হয়েছে। স্পঞ্জের এই ঝুট দিয়ে লেপ বানাতে খরচ কম। স্বল্প আয়ের রোজগেরে লোকজন ঝুট দিয়ে লেপ বানিয়ে নিচ্ছে। এতে উষ্ণতা বেশি।

চিকিৎসকরা বলেন, ঝুটের লেপে ঘুমানো স্বাস্থ্যসম্মত নয়। অতিরিক্ত উষ্ণতায় শরীরে ঘাম ঝরে। লেপ সরিয়ে নিলে শীতল অনুভবের সঙ্গে দেহের উষ্ণতায় ঘাম শুকিয়ে গেলে তা এলার্জিজনিত সর্দি-কাশি বাড়িয়ে দেয়। ক’জন আর শোনে এসব কথা । শীতে উষ্ণতাই বড় কথা; তা লেপেই হোক আর কম্বলেই হোক।

জহিরুল ইসলাম জয়
: আপডেট, বাংলাদেশ ৭:০৩ পিএম, ৪ নভেম্বর, ২০১৭ শনিবার
ডিএইচ

Share