ডা. জাকির নায়েকের অন্যতম সহযোগী আরশিদ কুরেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ভারত পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত করে আইএসে যোগ দিতে বাধ্য করার অভিযোগ এনেছেন কেরালা রাজ্যের বাসিন্দা এবিন জ্যাকব।
ডা. জাকির নায়েক প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন নামক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত আরশিদ কুরেশি।
এবিন জ্যাকবের বোন মরিয়ম ও তাঁর স্বামী বেস্টিন ভিনসেন্ট কিছুদিন ধরেই নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের নিখোঁজের পেছনে আরশিদ কুরেশির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এবিন।
মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা এবং কেরালা পুলিশ গত বুধবার রাতে মুম্বাই শহরের সি-উড এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে আরশিদ কুরেশিকে গ্রেপ্তার করে।
এবিন জ্যাকবের অভিযোগ, তাঁর বোনজামাই বেস্টিনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আরশিদ কুরেশির। বেস্টিনকে ধর্মান্তরিত করার জন্য জোরাজুরি করতেন তিনি। পরিকল্পনা করে মরিয়ম ও তাঁর স্বামীকে ধর্মান্তরিত করে বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেন এবিন জ্যাকব।
কেরালা রাজ্যের এরনাকুলাম জেলার পুলিশ কমিশনার কে ভি বিজয়ন বলেন, কিছুদিন আগে একরকম জোর করেই এবিন জ্যাকবকে মুম্বাই নিয়ে যান বেস্টিন ভিনসেন্ট। সেখানে আরশিদ কুরেশির বাড়ির লাইব্রেরিতে চলতো ‘মগজ ধোলাই’। সেখানে ইসলামকে সব ধর্মের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করতেন কুরেশি। এর পাশাপাশি ভারতীয় নাগরিকরা ‘অধর্মের পথে’ হাঁটছে বলেও বোঝানো হতো।
সে ‘মগজ ধোলাইয়ে’ পা না দিয়ে কেরালায় ফিরে যান এবিন। ফিরেই পুলিশের কাছে আরশিদ কুরেশির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
পরে কেরালা পুলিশ ও মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে জাকির নায়েকের অন্যতম সহযোগী আরশিদ কুরেশিকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ কমিশনার কে ভি বিজয়ন আরো বলেন, আরশিদ কুরেশির বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বৈরিতা তৈরি এবং ইউএপি আইনে মামলা করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখার কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের পর কুরেশিকে কেরালা নিয়ে যাওয়া হবে।
জাকির নায়েকের সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ থাকা এবং পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া প্রথম ব্যক্তি হলেন আরশাদ কুরেশি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আরশাদ কুরেশিকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়ে ডা. জাকের নায়েক সৌদি থেকে টেলিফোনে জানান…(ভিডিওতে দেখুন)