হাইমচর

গ্রেনেড হামলায় শহীদ হাইমচরের কুদ্দুছ পরিবারকে গণভবনে আমন্ত্রণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদ আবদুল কুদ্দুছ পাটওয়ারীর পরিবারে ৬ ভাই ও ২ বোন সহ ৮ সদস্যকে ১৩ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে গণভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

২১ আগস্ট শহীদ আঃ কুদ্দুছ পাটওয়ারীর বড় ভাই হাইমচর উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় সদস্য হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী জানান গত সোমবার ৯ এপ্রিল দুপুরে প্রধান মন্ত্রীর বাসভবন গণভবন থেকে টেলিফোনে শহীদ কুদ্দুছ পরিবারকে ১৩ এপ্রিল শুক্রবার বেলা ২টায় গণভবনে সৌজন্য স্বাক্ষাতের আমন্ত্রন জানানো হয়।

হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী জানান, শহীদ পরিবার হিসেবে আমরা গর্বিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জীবন রক্ষার্থে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমার ভাই তার প্রাণ বিলিয়ে দেয়। আমাদের চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শহীদ পরিবার হিসেবে আমাদেরকে যে সম্মান ¯েœহ ভালবাসা দিয়েছেন আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। ২০০৪ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের পৃষ্ঠ পোষকতায় ইতিহাসের বর্বরচিত গ্রেনেড হামলায় আমার ভাই সহ ২১ আগস্ট ২৪ জন নিহত হয় এবং কয়েক হাজার নেতা কর্মী পঙ্গুত্ব বরণ করে। হত্যাকান্ডের পর থেকে শহীদ পরিবার হিসেবে আমরা হামলাকারিদের বিচার দাবি করে আসছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার বৃদ্ধ মা’ সন্তান হত্যার বিচার দেখে যেতে পারেনি। মায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল তার শহীদ হওয়া সন্তানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য একটি মেডিকেল কলেজ/ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ আঃ কুদ্দুছ পাটওয়ারীর নামকরণে যেন স্থাপন করা হয়।’

হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী আরো জনান, শহীদ কুদ্দুছের ৬ ভাই ও ২ বোন ১৩ এপ্রিল প্রধান মন্ত্রীর বাসভবন গনভবনে আমন্ত্রিত হয়েছেন।

সম্প্রতি গত ১ এপ্রিল হাইমচরে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ সোস্যাল মিডিয়াসহ অন্যান্য প্রচারণার সাথে আ. কুদ্দুছের বিষয়টি তুলে ধরেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট ঢাকা বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সন্ত্রাস বিরোধী জনসভায় স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে থাকা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার জীবন রক্ষায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় সদস্য হাইমচরের কৃতি সন্তান আঃ কুদ্দুছ পাটওয়ারী শহীদ হন। অন্যান্যদের মধ্যে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর পাচানী গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী শ্রমিক আতিক সরকারও শহীদ হন।

প্রতিবেদক- বিএম ইসমাইল

Share