গ্রুপ ছবিতে সংখ্যায় ওরা ১৪ জন। কারও মুখে উপচে পড়ছে হাসি। আবার কারও ঠোঁটে লেগে আছে দুষ্টুমি। কে জানত সেই হাসি মিলিয়ে যাবে চিরদিনের মতো! মাইক্রোবাসে করে ঘুরতে গিয়ে তাঁদের ফিরতে হবে অ্যাম্বুলেন্সে, সাদা কাফনে মুড়ে!
মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা দেখে ফেরার পথে আজ শুক্রবার দুপুরে রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছেন মাইক্রোবাসে থাকা ১১ তরুণ। মাইক্রোবাসটিকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে ঠেলে নিয়ে যায় মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি। ট্রেন থামার পর দেখা যায়, ১৬ আরোহীর মধ্যে ১১ জনই বেঁচে নেই।
নিহতরা সবাই চট্টগ্রামের হাটহাজারীর চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের যুগীরহাট এলাকার বাসিন্দা। আমানবাজারে একটি কোচিং সেন্টারে পড়তেন এই ছাত্ররা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কোচিংয়ের শিক্ষকেরাও। ছুটির দিনে দল বেঁধে সবাই গিয়েছিলেন মিরসরাইয়ের ওই ঝরনা দেখতে। সেই আনন্দযাত্রাই রূপ নিল শেষযাত্রায়।
ঘটনার পর থেকে ছাত্রদের দুটি গ্রুপ ছবি ফেসবুকে ঘুরছে। একটিতে হাস্যোজ্জ্বল মুখে দাঁড়িয়ে সবাই। পরিচিতজনেরা জানিয়েছেন, সকালে যাত্রার আগে যুগীরহাটের কলেজ রোডের শেখ মার্কেটে অবস্থিত কোচিংয়ের সামনেই ছবিটি তুলেছিলেন তাঁরা। অন্য ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, মরদেহগুলো সাদা কাফনে মুড়িয়ে ঘটনাস্থলে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
ছবি দুটি পাশাপাশি ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকেই চোখের পানি ফেলছেন। কেউ লিখেছেন, ‘এই শোক সইব কী করে!’, ‘ছবি দুটি দেখে কলিজা কেঁপে উঠছে। তাঁদের বাবা–মায়ের কী অবস্থা কে জানে!’
বার্তা কক্ষ, ২৯ জুলাই ২০২২