অনেক আনন্দের মধ্যেই হঠাৎ নিজের মুঠোফোনে গ্রামীন ফোনের (০১৭৩৯৯৭৫৭৬৮) একটি নাম্বার থেকে সুমিষ্ট কণ্ঠে আগত কলে আত্মহারা ব্রাহ্মণবাড়িয়র কসবা উপজেলা মেহারী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল মিয়ার মেয়ে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রী রুজিনা আক্তার রুজি।
গ্রামীন ফোনের পুরাতন গ্রাহক হিসাবে সারাদেশের সেরা দশ গ্রাহকের একজন হিসাবে তিনি পেয়েছেন ১৫ লাখ টাকা। আর এর জন্য তাকে প্রাথমিক অবস্থায় একটি বিকাশ নাম্বার দিয়ে মাত্র ২৪০০০ টাকা পাঠাতে বলা হয়। এতো অল্প টাকায় অতোবড় পুরস্কার ভেবেই গোপনে ওই নাম্বারে দাবিকৃত টাকা পাঠিয়ে দেন রুজি।
এরপর ওই নাম্বার থেকে ২৬ মিনিট পর বিকাশের আরো দুইটি নাম্বার দিয়ে আরো ২৪৫০০ টাকা পাঠাতে বলা হয়। দ্রুত টাকা না পাঠালে পুরস্কার হাতছাড়া হতে পারে এমন আশংকায় নিজের সঞ্চয়কৃত ও আশে পাশ থেকে টানদিয়ে দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করে সে। এর পর যা হবার তাই হল ফোন করা সে নাম্বারটি বন্ধ খবর নেই বিকাশের ওই নাম্বারের ও।
নিজের সঞ্চয়করা আর আশে পাশের মানুষদের কাছ থেকে নেয়া ঋণের টাকা কীভাবে পরিশোধ করবেন দিশেহারা হয়েছে কলেজ ছাত্রী রুজিনা। আপনজনদের বিষয়টি জানানোর পরই তিনি বুঝতে পারেন সে প্রতারিত হয়েছে। এখন আর কি করা নিঃস্ব রুজিনা। অবশেষে আশ্রয় নেন আইনের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন আর অনুশোচনা করছেন নিজের ভুলের। এছাড়া অন্যদের সতর্কবার্তা আওড়িয়ে হারানো টাকা ফিরে পাওয়ার আশায় রয়েছেন ওই কলেজ ছাত্রী।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার এস আই শরীফুল ইসলাম বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে আমরা ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি।
রাকিবুল হাসান নুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া করেসপন্ডেন্ট
|| আপডেট: ০৩:৩৪ পিএম, ০১ জানুয়ারি ২০১৬, শুক্রবার
এমআরআর