লাইফস্টাইল

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় রোজাদারের করণীয়

পবিত্র মাহে রমজানে গ্যাস্ট্রাইটিস বা পেপটিক আলসারে আক্রান্ত অনেক মুসলিম নর-নারী রোজা পালন করে থাকেন। এক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রাইটিসের রোগীরা কিভাবে সুস্থ থেকে রোজা রাখতে পারেন তার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ। বিশেষজ্ঞগণের মতে, যাদের গ্যাস্ট্রাইটিস আছে তারা সাধারণত তাদের গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স, ক্ষুধামন্দা, পেপটিক ও স্টম্যাক আলসার থাকতে পারে।

এ সব ক্ষেত্রে হার্ট বার্ন, হজমে সমস্যা, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাবসহ নানা উপসর্গ থাকতে পারে। যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে গ্যাস্ট্রিক আলসার আরো খারাপ হতে পারে। তাই রমজানে এ ধরনের রোগীদের খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন আনা উচিত। চিকিৎসকের মতে, প্রথমে ইফতারির সময় বিশুদ্ধ পানি পান করবেন এবং চা-কফি, তৈলাক্ত খাবার, অধিক মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করবেন। মিষ্টি জাতীয় খাবারও খেতে হবে কম। পাশাপাশি ইফতারে কম পরিমাণ আহার ভালো। তারাবির আগেও সামান্য আহার করতে পারেন।

এ ছাড়া তারাবির পর পুষ্টিকর কোনো সুষম খাবার মেনুতে রাখতে হবে। তবে ঘুমানোর দেড় ঘণ্টা আগে কোনো খাবার না খাওয়াই ভালো। এ ছাড়া যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের ইফতার, রাতের খাবার বা সেহরির পর সাথে সাথে ঘুমাতে যাওয়া বা বিছানায় যাওয়া উচিত নয়। এতে খাবার পাকস্থলীর উপরের দিকে এসে বুকজ্বালা পোড়া করতে পারে। এ ছাড়া যাদের গ্যাস্ট্রিক আলসার রয়েছে এবং ওষুধ সেবন করেন তারাও চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধের সময় সূচি পরিবর্তন করে নিতে পারেন।

Share