গ্যাসের দাম বাড়ার আগেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু করেছে পিডিবি। পেট্রোবাংলা এবং গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্যাসের দাম এবং তাদের মার্জিন বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা শুরু করে সপ্তাহখানেক আগে। তখনই বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে পিডিবি বলেছে, গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে বিদ্যুতের পাইকারি দামও বাড়াতে হবে।
রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ খবর নিশ্চিত করেন। কমিশন সূত্র বলছে, পিডিবি তাদের চিঠিতে জানিয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে এখন তাদের লোকসান হচ্ছে। এর মধ্যে গ্যাসের দাম বাড়লে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচও বাড়বে।
পিডিবি পাইকারি দামে বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করে। বিতরণ কোম্পানি সেটা খুচরা দামে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর আগেই পিডিবির এই উদ্যোগ নেওয়া ঠিক হয়নি। কারণ সরকার কী পরিমাণ ভর্তুকি দেবে তার ওপর নির্ভর করেই গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে।
জানতে চাইলে কমিশনের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, আমরা পিডিবিকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে বলেছি। সেক্ষেত্রে গ্যাসের দাম কত ভাগ বাড়লে বিদ্যুতের দাম কত বাড়াতে হবে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এলএনজির উচ্চ দরের কারণে চলতি অর্থবছরে সরকারকে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সার বাবদ ৭০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। এই বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানা গেছে। এজন্য পেট্রোবাংলা এবং বিতরণ কোম্পানিগুলোকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে বলেছে জ্বালানি বিভাগ।
গেলো সপ্তাহেই পেট্রোবাংলা এবং চার বিতরণ কোম্পানি কমিশনে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। কিন্তু প্রস্তাবগুলো বিধিসম্মত না হওয়ায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন নির্ধারিত ছকে প্রস্তাব দিতে বলে। চলতি সপ্তাহের যেকোনও দিন প্রস্তাব নিয়ে আবার কমিশনে হাজির হবে পেট্রোবাংলা ও বিতরণ কোম্পানিগুলো।
এর আগে ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা দাম বাড়ানো হয়। সে সময় পাইকারি বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা ৭৭ পয়সা থেকে ইউনিট-প্রতি ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ টাকা ১৭ পয়সা করা হয়। একই সময়ে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৭৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৭ টাকা ১৩ পয়সা।