গ্যাসট্রিক একটি প্রচলিত সমস্যা। এটি হলে বিভিন্ন সমস্যা হয়। এ বিষয়ে নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন কথা বলেছেন ডা. এ কে এম শফিকুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি বারডেম হাসপাতালে গ্যাসট্রোঅ্যান্ট্রোলজি বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : গ্যাসট্রিকের কী কী ধরনের সমস্যা হয়?
উত্তর : সাধারণ মানুষ যাকে গ্যাসট্রিক বলে থাকেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় আমরা একে বলি প্যাপটিক আলসার রোগ। এটি আসলে খাদ্যনালির কিছু কিছু অংশের এক বিশেষ ধরনের ক্ষয়রোগ। এটি এডিস ও প্যাপসিন নিঃসরণের কারণে হয়। আমি যদি বিষয়টিকে আরো ভালোভাবে বলি, এসিড ও প্যাপসিন এমন একটি জিনিস যেটি পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত হয়। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের খাবার পরিপাকের জন্য এটি সবারই দরকার। এর যেমন উপকারী দিক খাবার পরিপাক, তেমনি এর অপকারী দিক হলো সুযোগ বুঝে পাকস্থলীতে এবং খাদ্যনালির বিভিন্ন অংশে ক্ষতের তৈরি করা। এই ক্ষতিকর অবস্থা থেকে বাঁচার জন্য পাকস্থলীর গায়ে এক বিশেষ ধরনের শ্লেষ্মা ঝিল্লির আবরণ থাকে। যদি কোনো কারণে এসিড ও প্যাপসিন বেড়ে যায় অথবা এই শ্লেষ্মা ঝিল্লির প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তাহলে পাকস্থলীসহ খাদ্যনালির বিভিন্ন অংশে ঘায়ের তৈরি হয়। একেই সাধারণভাবে গ্যাসট্রিক বলা হয়। তবে আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলি প্যাপটিক আলসার ডিজিজ। শুধু এটি পাকস্থলীতে হয় এ রকম নয়, এটি অন্ননালির নিচের অংশ, ক্ষুদ্রান্তের প্রথম অংশ, মিকেলস ড্রাইভারটিকোলাম অথবা অস্ত্রোপচারের পর বিভিন্ন অংশে যেখানে খাদ্যনালির অন্যান্য অংশ জোড়া লাগানো হয়, সেই সব অংশে ক্ষতের তৈরি করে।
স্বাস্থ্য ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২ : ৩০ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭, রোববার
এইউ