কৃষকদের স্বপ্নে গোমতীর চরে সবুজের হাতছানি

কুমিল্লার গোমতী নদীর চরে যেনসবুজের হাতছানি। আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে হাসি।মহানন্দেব্যস্ত সময়পাড় করছেন কৃষকেরা। জেলার প্রধান নদী গোমতীর চর এলাকায় এবছর ব্যাপক গোল আলুর আবাদ হয়েছে।

আগামী কিছু দিনের মধ্যেই কৃষক তাদের উৎপাদিত আলু ঘরে তুলবেন। এচিত্র কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার গোমতীর চরের বিভিন্ন এলাকায়।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, সবজি চাষে জেলার অন্যতম এলাকা গোমতী নদীর চর। বিভিন্ন মৌসুমী এই চরে আবাদ করা হয় নানা জাতে সবজি। চলতি মৌসুমে গোমতীর চরের বুড়িচং উপজেলা অংশে অন্যান্য সবজির পাশাপাশিব্যাপক ভাবে গোল আলুর আবাদ করেছে চাষীরা।

উপজেলার নদী তীরবর্তী ময়নামতি, ষোলনল,ভারেল্লা উত্তর,ভারেল্লা দক্ষিণ,পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা আলু আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আলুর চারা যেন সবুজের সমারোহে ভরে তুলেছে গোমতী নদীর চর এলাকা। ফলনও ভালো হবে বলে আশাবাদ কৃষকদের। এখন কৃষকরা ব্যস্ত সময় পাড় করছেন জমিতে আলু গাছের পরির্চযায়।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এ বছর শীত মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

আরো দেখুন-মতলবে সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর বাম্পার ফলন সম্ভাবনা

এবদারপুরের কৃষক ইসমাইল হোসেন, আব্দুল আজিজ, গোবিন্দপুর গ্রামের মোবারক হোসেন জানান,গত বছর আলু উত্তোলণ মৌসুমে বাজারে দাম কম হওয়ায়আলু চাষে তাদের আর্থিকভাবে লোকসান গুণতে হয়েছে। এ বছর আলুর দাম সেই অনুযায়ী ভালো পাওয়া গেলে লাভবান হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশাবাদী কৃষকরা।

শ্রীপুর গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন চাঁদপুর টাইমসকে জানিয়েছে আলু গাছে ঔষুধ প্রয়োগ, সেচ, সার, মজুরীসহএক বিঘাজমিতে আলু চাষে প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ক্ষেতের অবস্থা দেখে তিনি খুশি তাই তিনি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন বেশি।

বুড়িচং উপজেলা কৃষিবিদ কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শামিম হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,এ বছর আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা নিধারণ ছিল ৯৫০ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হয়েছে। এবার যেহেতু আবহাওয়া অনুকূলে, রোগবালাইও এখন পর্যন্ত নেই তাই ফলন খুবই ভালো হবে।

এদিকে উপজেলার গোমতি নদীর চর এলাকার কিছু কিছু স্থানে আলু তোলা শুরু হয়েছে যেখানে আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন কৃষকরা

জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল. কুমিল্লা ব্যুরো: ১৮ জানুয়ারি ২০২০