গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউপির সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দলীয় প্রতীকের লড়াই

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গোবিন্দপুর ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে লড়াই চলছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ৬ প্রার্থীর মাঝে চলছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ইউনিয়নে প্রবীণদের সাথে তরুণ প্রার্থীরা সমান তালে মনোনয়ন পাওয়ার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আ’লীগের সকল প্রার্থীই নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চায়।

অপরদিকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী হচ্ছেন মাত্র দুই জন। একজন বর্তমান চেয়ারম্যান ও অপরজন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। এছাড়া বিএনপি ঘরনার আরো এক হেভিওয়েট ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ওই ইউনিয়নের জনগণ। ব্যক্তি ইমেজধারী এই ব্যক্তি যদি নির্বাচন করেন সেক্ষেত্রে নির্বাচনের ফলাফল ভিন্ন হতে পারে বলে মনে করেন তার কর্মী সমর্থকরা। আসন্ন নির্বাচনে সাবেক ও বর্তমান তিনজন চেয়ারম্যান দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে ইচ্ছুক। সব মিলিয়ে এ ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ৯ জনের নাম শোনা যায় সর্বত্র।

১৪.৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন। ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই। বর্তমানে চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান মোঃ আবু তালেব পাটওয়ারী।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির যোগ্য ব্যক্তির মনোনয়ন চায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা হচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আবু তালেব পাটওয়ারী, সাবেক চেয়ারম্যান খাজা আহম্মদ ভূঁইয়া, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ওজিউল্ল্যাহ ভূঁইয়া, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ¦ মোঃ আব্দুল হান্নান মিয়া, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক আলহাজ¦ মোঃ আলমগীর হোসেন পাটওয়ারী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা আ’লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা যুবলীগের কোষাধ্যক্ষ ও ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্য আব্দুর রহমান, মুজিব সেনা ঐক্যলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক প্রচার সম্পাদক শাখওয়াত হোসেন সাহেদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার খোরশেদ আলম।

বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আবু তালেব পাটওয়ারী বলেন, ‘আমি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সংস্কার, ব্রিজ নির্মানসহ বিচার সালিশে ন্যায় বিচার করেছি। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আমি ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী। ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চাই।’

ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল হান্নান মিয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমি বিএনপির রাজনীতি করি। গত নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলাম। আসন্ন নির্বচানেও প্রার্থী হবো।’ অপরএক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী দল আমাকে মনোনয়ন দিবে।’

ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘দীর্ঘ ১৯ বছর আমি ইউপি মেম্বার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। ইউনিয়নবাসীর সেবার জন্যই চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছি। দল যদি মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবো।’

উপজেলা যুবলীগের কোষাধ্যক্ষ ও ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্য আব্দুর রহমান এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। দীর্ঘ ২৫ বছর ইউনিয়নের জনগন ও দলের স্বার্থে আ’লীগের রাজনীতি করে আসছি। আমি আশাবাদী দল সম্ভাব্য প্রার্থীদের অতীত কর্মকান্ড মূল্যায়ন করে প্রার্থী মনোনয়ন দিবে।’

মুজিব সেনা ঐক্যলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির প্রচার সম্পাদক শাখওয়াত হোসেন সাহেদ এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘ইউনিয়নের কাঙ্খিত উন্নয়ন কাজ হচ্ছে না। রাস্তা-ঘাট বিদ্যুতের বেহাল দশা বিরাজ করছে। জনগন কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না। আমি জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগনের সেবা করতে চাই। নেওয়ার জন্য নয়, জনগণকে দেওয়ার জন্য আমি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবো।’

||আপডেট: ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, ১৪ মার্চ ২০১৬, সোমবার

এমআরআর

Share