গোডাউনের আগুনে নিভল শিশুসহ পাঁচ প্রাণ

কেরানীগঞ্জ গদারবাদ এলাকায় কেমিকেল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিভেছে পাঁচটি প্রাণ। তারা সবাই একই পরিবারের।

গোডাউনের পাশে থাকা টিনসেড ঘরে ঘটনার সময় ছিল দুই শিশু। তাদের মধ্যে তানহা ইসলাম রোজা (৫) নামে এক শিশু শরীরের বিভিন্ন স্থানে পোড়া নিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। গোডাউনের আগুনে রোজার বাবা-মা ও ছোট বোন মারা গেছে।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাতে আগুনের ঘটনায় ৫জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

জানা গেছে, গত সোমবার দিবাগত রাতে কেরানীগঞ্জ গদারবাগ এলাকায় কেমিকেল গোডাউনে আগুন লাগে। এটি ছড়িয়ে পড়ে পাশে থাকা সেমিপাকা টিনসেট বাড়িতে। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে নির্বাপণের কাজ করে। তবে মৃত্যু হয় পাঁচজনের।

নিহতরা হলেন, সোহাগ, তার স্ত্রী মিনা বেগম ও তাদের সন্তান তাইবা আক্তার, সোহাগের সৌদি প্রবাসী বড় ভাইয়ের স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও তার মেয়ে ইশা আক্তার।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিকিৎসারত অবস্থায় দুপুরের দিকে মৃত্যু হয় সোহাগের। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালের দিকে জেসমিনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে মিনা, তাইবা ও ইশার মরদেহ।

সোহাগের মামাশ্বশুর ফারহাদ হোসেন জনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন। কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের অবশ্যই কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে বলে আশা তার।

তিনি বলেন, সোহাগের বড় ভাই সৌদি প্রবাসী। তার স্ত্রী জেসমিন মুন্সিগঞ্জ বাবার বাড়িতেই থাকত। ইশাকে নিয়ে এক মাস আগে কেরানীগঞ্জ এসেছিল সে। ওই কেমিকেল গোডাউনের মালিকের অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। সোহাগের পাশাপাশি তার বাবা হানিফ মিয়াও চাকরি করেন। গোডাউনের পাশে যে সেমিপাকা টিনশেড বাড়ি সেটাও একই মালিকের। সোহাগের পরিবার সেখানে ভাড়ায় থাকতো। গোডাউন মালিকের নাম টুটুল হাজী বলে জানা গেছে।

এই ঘটনায় সোহাগের আরেক সন্তান রোজা দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা অবস্থাও ভালো না। তার বাবা মা ও ছোট বোনকে কেরানীগঞ্জ কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জেসমিন ও তার মেয়েকে মুন্সিগঞ্জে দাফন করা হয়েছে বলেও জানান জনি।

ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসী জানায়, আগুনের ঘটনার এর লেলিহান শিখা ছিল চারতলা সমান। আগুন দ্রুতই টিনশেডে ছড়িয়ে পড়ে। ঘরের পেছনের দেয়াল ভেঙে সোহাগের বাবা মা-কে উদ্ধার করা গেলেও বাকিদের উদ্ধার সম্ভব হয়নি।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, আগুনের ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।

টাইমস ডেস্ক/ ১৬ আগস্ট ২০২৩

Share