রাজশাহীতে গৃহবধূ ওয়াহিদা সিফাত হত্যা মামলায় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক, স্বামী ও শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে সিআইডি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আহম্মেদ আলী বুধবার সকালে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (অভিযোগপত্র) চার্জশিটটি দাখিল করেন।
অভিযুক্তরা হলেন— সিফাতের স্বামী মো. আসিফ পিসলি, সিফাতের শ্বশুর মোহাম্মদ হোসেন রমজান, শাশুড়ি নাজমুন নাহার নাজলী ও প্রথম ময়নাতদন্তকারী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক জোবাইদুর রহমান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আহম্মেদ আলী জানান, ১৯ মার্চ এ মামলার নির্ধারিত দিন চার্জশিটের শুনানি হবে।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রমাণ মিলেছে সিফাত আত্মহত্যা করেননি। তাকে যৌতুকের দাবিতে হত্যা করা হয়েছে। সিফাতের লাশের প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জোবাইদুর রহমান আত্মহত্যার ভুল প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। তাই অভিযোগপত্রে তার নামও উল্লেখ করা হয়েছে।’
২০১৫ সালের ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন রমজানের বাড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু হয় গৃহবধূ ওয়াহিদা সিফাতের। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রথমে সিফাত আত্মহত্যা করেছে বলে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাবি করলেও পরে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হয়।
এ ঘটনায় মহানগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩)-এর ১১(ক)/৩০ ধারায় যৌতুকের দাবিতে হত্যা ও সহায়তা করার অপরাধে দায়ের করা এ মামলায় সিফাতের স্বামী মো. আসিফসহ তিনজনকে আসামি করা হয়।
রাজপাড়া থানা পুলিশ মামলাটি তদন্তে সফল না হওয়ায় মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। সেখানেও মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়।
||আপডেট: ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, ২৩ মার্চ ২০১৬, বুধবার
চাঁদপুর টাইমস /এমআরআর