চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার জামালপুর এলাকায় নুরজাহান বেগম শান্তা (২৮) নামে রোববার (৯ জুলাই) রাতে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১০ জুলাই) সকালে স্থানীয়রা ঘরের বারান্দার গ্রীলের সাথে গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করাহয়।
নিহত গৃহবধূ ওই উপজেলার বিষুরবন্ধ গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির আশ^াদ ভুঁইয়ার ছেলে সোহেলের স্ত্রী।
নিহত গৃহবধূ শান্তার মা শাহানারা বেগম জানান, ৩ বছর পুর্বে আমার মেয়েকে তার স্বামী প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের সংসার থেকে ৩ ছেলে সন্তান রেখে সোহেল ভুঁইয়া পালিয়ে নিয়ে এসে বিয়ে করে। বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া করে থাকে, প্রায় দেড় বছর যাবত জামালপুর গ্রামের প্রবাসী দুলাল কাজীর বাড়ীর নিচতলায় বসবাস করছে। সকালে জানতে পারি আমার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এসে দেখি বাসার সামনের বারান্দার গ্রীলের সাথে পা মাটিতে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মেয়ের লাশ দেখতে পাই।
তিনি আরো জানান, আমার মেয়ের জামাই সোহেল পরিকল্পিতভাবে মেয়েকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে এবং আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।
নিহত শান্তার মা সোহেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
এ ব্যাপারে নিহত শান্তার স্বামী সোহেল ভুঁইয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আবদুল খালেক পাটওয়ারী জানান, আমি ঘটনা শুনার পরে এখানে এসেছি। আমি আসার পুর্বেই গৃহবধূর স্বামী সোহেল ভুঁইয়া পালিয়েছে। গৃহবধূর আত্মহত্যার বিষয়টি আমার রহস্যজনক মনে হচ্ছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত রাজীব চন্দ্র দাস জানান, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এই বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, গত এক মাস পুর্বে পুলিশ সোহেলকে মাদকসহ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে, বর্তমানে সে জামিনে রয়েছে।
প্রতিবেদক : আতাউর রহমান সোহাগ, ফরিদগঞ্জ
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০ : ১৭ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৭, সোমবার
এইউ