কচুয়া রহিমানগর বাজারসংলগ্ন সাতবাড়িয়া গ্রামের শাহনাজ আক্তার (২৩) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৩ ফেব্রুয়ারি রোববার কচুয়া থানার পুলিশ গৃহবধূ শাহনাজকে স্বামীর বসতঘর থেকে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার করে। নিহত শাহনাজ সাতবাড়িয়া গ্রামের বাচ্চু কন্ট্রাক্টর বাড়ির মীর হোসেন রাজুর স্ত্রী।
নিহত শাহনাজ আক্তারের স্বামী রাজু জানান, আমি গত বুধবার সৌদি আরব থেকে ছুটিতে বাড়িতে আসি। বিদেশ থেকে যেসব মালামাল এনেছি তা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যকে না দেওয়ার জন্য শাহনাজ আমাকে নিষেধ করে। স্ত্রীর বাধা দেওয়া সত্ত্বেও আমি আমার পরিবারের সকল সদস্যদের মালামাল দিই। এ নিয়ে শনিবার আমাদের দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে শাহনাজ রহিমানগর বাজারে এসে ৪টি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে বাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
রাত ১১টায় আমি শাহনাজকে ঘুম থেকে জাগিয়ে ভাত খাওয়া শেষ করার পর আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। রবিবার সকালে আমি ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখি শাহনাজও ঘুম থেকে উঠেছে এবং আমাদের দুজনের মধ্যে কথাও হয়েছে। তারপর আমি আবারও ঘুমিয়ে পড়ি এবং সকাল ৯টায় ঘুম থেকে উঠে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ করে আমাদের বেডরুমের পাশের একটি কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে শাহনাজ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নিহত শাহনাজের পিতা একই উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের খাজুরিয়া লক্ষ্মীপুর গ্রামের শাহজী বাড়ির নজু ভান্ডারী জানান, রাজু ও শাহনাজের সংসারে কোনো অশান্তি ছিল না। বিয়ের পর থেকে আমার মেয়ের মেজ জা প্রায় সময় শাহনাজের সাথে ঝগড়া করত। জামাইকে জানালেও সে কোনো বিচার করত না। আজ আমাকে জরুরি আসতে বললে এসে দেখি আমার মেয়ের মৃতদেহ।
কচুয়া থানার ওসি মো. ওয়ালী উল্লাহ জানান, আমরা মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করেছি। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হবে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কচুয়া করেসপন্ডেন্ট, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০