চাঁদপুরে টয়লেট থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার

চাঁদপুরে টয়লেট থেকে মিতু বেগম (২৭) নামের গৃহবধুর গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞেসাবাদের জন্য গৃহবধুর স্বামী অপু, শাশুড়ি পারভীন ও ননদ রুমিকে থানায় নিয়ে আসেন।

২২ নভেম্বর সোমবার বিকেলে চাঁদপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের পাটওয়ারী পুল এলাকার ভূইঁয়া বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে লাশটি দেখে স্থানীয়রা রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেন।

গৃহবধু মিতু বেগম চাঁদপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের পাটওয়ারী পুল এলাকার ভূইঁয়া বাড়ির অপু ভূইঁয়ার স্ত্রী ও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের উত্তর বালিয়ার হাফেজ খানের মেয়ে। অপু ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় মাষ্টার রুলে কর্মরত আছেন।

ঘটনার খবর শুনে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুল রশিদ, পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ সোহেল রানা, এএসআই মোর্শেদ ও মোঃ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন একনজর দেখার জন্য বাড়ির পাশে ভিড় করেন।

স্থানীয়রা জানায়, টয়লেটের জানালা (ফ্যান লাইট) এর সাথে ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দেওয়া সম্ভব নয়। লাশটির অর্ধেক শরীরে টয়লেটের মেঝেতে ঝুলানো অবস্থায় রয়েছে। লাশটি দেখে মনে হয় কেউ তাকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে।

গৃহবধুর চাচা আলম খান চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, সাড়ে ৩ মাস পূর্বে ৩ লক্ষ টাকা দেন মহর ও ৫০ হাজার টাকা উসুলে পারিবারিকভাবে মিতু ও অপুর বিয়ে হয়। ঢাকা উত্তরায় মিতুর খালার বাড়িতে এ বিয়ে হয়। ১৫ দিন পূর্বে মিতুকে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অপু বাড়িতে নিয়ে আসে।

স্বামী অপু চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, আমি চাকুরীর সুবাদে ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় কাজে ছিলাম। হঠাৎ বাড়ি থেকে ফোন আসে মিতু ফাঁসি দিয়েছে। তা শুনে আমি সাথে সাথে কাজ ফেলে রেখে বাড়িতে চলে আসি।

গৃহবধুর পিতা হাফেজ খান চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, কেউ যদি আমার মেয়েরে মাইরা থাকে, তাহলে তার হত্যার বিচার চাই।

চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘পুরাণবাজরের পাটওয়ারী পুল এলাকায় আত্মহত্যা খবর পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সুরতহাল করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যু প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট

Share