ফরিদগঞ্জ রেহানা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধুকে রিপন (৩০) নামের একজন পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। উপজেলার ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পাড়া গাব্দের গাঁও গ্রামের পতে আলী বেপারী বাড়ির রুহুল আমিনের ছেলে রিপন একই বাড়ির ওমর ফারুকের স্ত্রী রেহানাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। রেহানা দুই সন্তানের জননী। তার স্বামী ঢাকায় রাজমেস্ত্রীর কাজ করে।
রেহানা ও তার পরিবারের লোকজন জানায়, ৭ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১১টায় রিপন আমার ঘরে ঢুকে পাইপ দিয়ে আমার বুকে, পিঠে, হাতে, পায়ে ও মাথায় এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করে। এ সময় রিপনের ভয়ে কেউ আমাকে রক্ষা করতে আসেনি। সে আমাকে মেরে আহত করে চলে যাওয়ার পর লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
লম্পট রিপন আমাকে ইতিপূর্বে একাধিকবার উত্ত্যক্ত করায় আমি নিরুপায় হয়ে বললাম, এ বিষয়ে লোকজনকে জানাবো। এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে পিটিয়েছে। একই কায়দায় সে আরোও অনেক মহিলাকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। আমাকে ফোন দিয়েছে তার ঘরে যেতে, আমি তা আমার স্বামীর নিকট বললে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে খুলছে না। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবীর পাশাপাশি লম্পট রিপনের কঠোর শাস্তির দাবী জানাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রিপন জানায়,‘আমি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। আমার স্ত্রীর কাছে অভিযোগ দেওয়ার কারণে আমার স্ত্রী পাইপ দিয়ে পিটিয়েছে তাকে। আমি তাকে জোর করে জড়িয়ে ধরে টানা হেচড়া করেছি বলে সে আমার স্ত্রীকে জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার লিটন জানায়, এ বিষয়ে আমাকে অবহিত করা হয়েছে। আমি বলেছি আইনের আশ্রয় নিতে । কেননা বিষয়টি জটিল।
চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক প্রথমে বলেন, ‘আমাকে ঘটনার বিষয় কেউ জানায়নি।’ পরবর্তীতে বলেন,‘আমায় ওয়ার্ড মেম্বার জানিয়েছিল; তবে গৃহবধুর পক্ষ থেকে কেউ জানায়নি।’
এ বিষয়ে রেহানার বড় ভাই মো. নাজিমউদ্দিন মিজি জানায়, ‘আমি প্রথমে চেয়াম্যান ওমর ফারুকের নিকট বিচার চাইতে গেলে সে বলে আইনের আশ্রয় নিতে। বিষয়টি নারী সংক্রান্ত ঘটনা তাই। আমরা নিরুপায় হয়ে কোর্টের স্মরনাপন্ন হলাম। আমরা লম্পট রিপণের শাস্তির দাবীতে কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
রিপন ইতি পূর্বেও একাদিকবার আমার বোনকে উত্ত্যক্ত করেছে। এবার আর ছাড় দেওয়া যাবে না। তাকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহীদ হোসেন জানান, আমার কাছে এখনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিবেদকঃ শিমুল হাছান