বিশেষ সংবাদ

গৃহকর্তার লালসার শিকার : অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীকে প্রসবের আগেই অপহরণ!

গৃহকর্তার লালসার শিকার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী সন্তান প্রসবের ১৩ দিন আগে অপহরণ হয়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

পরিবারের অভিযোগ ধর্ষক ও তার পবিরারের সদস্যরা কিশোরীকে অপহরণ করেছে। এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। মামলার নম্বর ১২৩।

এর আগে ২০ অক্টোবর অভিযুক্ত দাউদ সরদারের নামে যশোর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা করা হয়েছিলো। অভিযুক্ত হাজী দাউদ সরদার যশোরে জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার বাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা।

কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিবেশি হাজী দাউদ সরদারের বাড়িতে গৃহকর্মী ছিলো ভিকটিমের মা। এর সূত্র ধরে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৪ বছর বয়সী মেয়ের যাতায়াত ছিলো। এই সুযোগে দাউদ সরদার তার মেয়েকে কৌশলে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

বিষয়টি জানাজানি করলে ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্যদের খুন করে ফেলা হবে বলে ভয় দেখানো হতো। এরপর দাউদ সরদার তার মেয়েকে লোকজন দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করতে থাকে। ভয়ে দুই মাস আগে মেয়েকে নিয়ে যশোর শহরের বারান্দীপাড়ার তরিকুল ইসলামের ভাড়া বাসায় ওঠেন তারা।

গত ২৩ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে মেয়েটি পার্শ্ববর্তী আমতলা মোড়ের পুরি (খাবার) কিনতে বাসা থেকে বের হয়। এরপর আর বাসায় ফেরেনি। ওই সময় অজ্ঞাতনামা লোকজন মেয়েটিকে অপহরণ করেছে।

ভিকটিমের মা বলছেন, দাউদ সরদার ও তার লোকজন মেয়েটিকে অপহরণ করে খুন, গুম করেছে। অথবা কোথাও আটকে রেখেছে। অবিলম্বে তার মেয়েকে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ভিকটিমের আইনি সহায়তার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছে যশোর জেলা মহিলা পরিষদ। সংগঠনটির লিগ্যাল এইড সম্পাদক কামরুন্নাহার কনা বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর গত ১৪ অক্টোবর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। ডাক্তারি রিপোর্টে মেয়েটির আগামী ৫ নভেম্বর সন্তান প্রসবের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

যশোর জেলা মহিলা পরিষদের নেত্রী কনা আরও বলেন, প্রথম দিকে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্ত দাউদ সরদার প্রভাবশালী হওয়ায় ভিকটিমের পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে ধামা চাপার চেষ্টা করে। পরে মেয়েটির পরিবার মহিলা পরিষদের সহযোগিতা চেয়েছে। মেয়েটি যাতে ন্যায় বিচার পায় সেজন্য আমরা কাজ করছি।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আক্কাছ আলী বলেন, ভিকটিমের মায়ের অভিযোগটি বৃহস্পতিবার রাতে মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। মেয়েটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়েছে।

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৬:৪৫ পিএম,৩০ অক্টোবর ২০১৫, শুক্রবার

এমআরআর

Share