বিশেষ সংবাদ

গাড়ির মেকানিক হলেন নিউজিল্যান্ডের সেরা ধনী

কিশোর বয়সেই হাইস্কুল ছেড়ে দেন গ্রায়েম হার্ট। বিভিন্ন সময়ে কাজ করেছেন গাড়ির বডি মেরামতকারী ও ট্রাকচালক হিসেবে। অথচ সেই ছেলেটিই এখন নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে ধনী।

কালের বিবর্তনে সেই গ্রায়েম হার্ট এখন প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ অর্থের মালিক। গত সপ্তাহে তার কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে খবরে উঠে এসেছেন গ্রায়েম হার্ট।

ব্লুমবার্গ ডটকমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রাইভেট ইক্যুইটি, সুপার-ইয়ট (প্রমোদতরী), সাবমেরিন ও পিনবল মেশিনের ব্যবসায় ভর করে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন হার্ট।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, গত শুক্রবার রেনল্ডসের শেয়ার ৯.৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ২৮.৫৫ ডলারে। এতে করে কোম্পানিতে হার্টের শেয়ারের মূল্য ৪৪০ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। রেনল্ডসের শেয়ারের দর বৃদ্ধি সোমবারও অব্যাহত থাকে। এদিন দর বাড়ে আরও ৩.৭ শতাংশ।

৬৪ বছর বয়সী এ শিল্পপতির জীবনের শুরুটা ছিল সংগ্রামের। কিশোর বয়সেই হাইস্কুল ছেড়ে দেন। পেট চালাতে একাধিক ছোটখাটো কাজও করতে থাকেন। পরে অবশ্য আবার পড়াশোনায় ফিরে আসেন। নিউজিল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব ওটাগো থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। পড়াশোনা ফাঁকেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঠিক করে নেন তিনি।

পড়াশোনা শেষ করার পর গত তিন দশক ধরে নানান ব্যবসা করে চলেছেন গ্রায়েম হার্ট। তার ‘র‌্যাঙ্ক গ্রুপ’ কোম্পানির হাতে রয়েছে ‘রেনল্ড কনজিউমার প্রোডাক্টস ইনকরপোরেশন’-এর সিংহভাগ শেয়ার। রেনল্ড কনজিউমার প্রোডাক্টস ইনকরপোরেশন বড়বড় আবর্জনার ব্যাগ, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল তৈরি করে।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, গ্রায়েম হার্টের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ ৯.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনিই এখন নিউজিল্যান্ডের সেরা ধনী। বিষয়টি নিয়ে র‌্যাঙ্ক গ্রুপের পক্ষ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি।

২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব ওটাগোতে এক সম্মেলনে গ্রায়েম হার্ট বলেছিলেন, ‘সাহসী হতে হবে। অর্থাৎ যতটা সম্ভব কিনতে হবে, যতটা সম্ভব ধার করতে হবে, তারপর সেই সম্পদকে কাজে লাগাতে যতটা সম্ভব কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

বুধবার ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সে তার অবস্থান ছিল ১৬৫তম। শত শত কোটি ডলারের এই মালিক সুপার-ইয়টে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেন।

তিনি ২০ কোটি ডলারে ৩৮১ ফুট দীর্ঘ একটি উলিসেস সুপার ইয়ট কিনেন। এই নৌযানে একটি হ্যালিপ্যাড আছে।

Share