Home / আন্তর্জাতিক / গাজায় ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি
gaza

গাজায় ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি

কাতারের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিনির গাজা উপত্যকায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) থেকে এ চুক্তি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতিতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে কিছু বন্দিবিনিময়ের কথা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধবিরতি শুরুর সময় জানিয়েছিল কাতার। সেই সময় অনুযায়ীই বিরতি শুরু হয়েছে।

যদিও যুদ্ধবিরতিকে সামনে রেখে গাজায় রাতভর বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পাওয়া গেছে হতাহতের খবরও। হামাস জানায়, উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘ অধিভুক্ত একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে ৩০ জন। খবর-আলজাজিরা

অন্যদিকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষে ফিলিস্তিনের গাজায় আবার হামলা জোরদার করা হবে বলে জানায়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের বিরতি শেষ হলে আরও অন্তত দুই মাস হামাসের বিরুদ্ধে তীব্রতর লড়াই চালিয়ে যাবে ইসরায়েলের বাহিনী। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

ফিলিস্তিনের গাজা উপক্যতার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে গত দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে শুরু থেকেই ভূমিকা পালন করছে মধ্যপ্রাচ্যের দু’ কাতার এবং মিসর।

গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। হামাসের এ হামলার জবাবে ওই দিনই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।

১৬ অক্টোবর থেকে সেই অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গত দেড় মাসে উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৫ হাজার ৫৩২ জনে। এই নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।

১৪ অক্টোবর প্রথম বার জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করে রাশিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের আপত্তির কারণে তা বাতিল হয়ে যায়।

তার দু দিন পর ১৬ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় মানবিক বিরতির আহ্বানের প্রস্তাব উত্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র; কিন্তু রাশিয়া ও চীনের আপত্তির কারণে সেটিও বাতিল হয়ে যায়।

তবে নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন প্রস্তাব বাতিল হলেও গাজায় যুদ্ধবিরতি কিংবা মানবিক বিরতির পক্ষে শক্ত অবস্থান নেয় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ। সেই সঙ্গে এই যুদ্ধের শুরু থেকেই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে আসছিল কাতার ও মিসর।

২৪ নভেম্বর ২০২৩
এজি