Home / আন্তর্জাতিক / গাজায় বাস্তুচ্যুত ৪ লাখ ২০ হাজার ফিলিস্তিনি
gaza3-====

গাজায় বাস্তুচ্যুত ৪ লাখ ২০ হাজার ফিলিস্তিনি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নতুন করে আরো প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসঙ্ঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এ তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার ১৮ এপ্রিল আনাদোলু নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়,১৮ মার্চ ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের পর থেকে গাজায় ৪ লাখ ২০ হাজার ফিলিস্তিনি নতুন করে বাস্তুচ্যুত করেছে।

এক বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করে বলেছে,‘২০২৫ সালের ২ মার্চ অর্থাৎ ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ অবরোধ আরোপ করার সময় থেকে গাজা উপত্যকায় কোনো প্রকারের মানবিক সাহায্য ও সরবরাহ প্রবেশ করেনি।’

বিবৃতিতে সংস্থাটি আরো জানিয়েছে,এ সংখ্যা ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় জারি করা আদেশের চেয়ে তিনগুণ বেশি। এটি উল্লেখ করেছে, ১৮ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে কমপক্ষে ২০টি বাস্তুচ্যুতি আদেশ জারি করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এ কারণে গাজা উপত্যকার প্রায় ৬৯ % ফিলিস্তিনি সক্রিয় বাস্তুচ্যুতি আদেশের আওতায় রয়েছে।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। দেশটির অব্যাহত এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।

জাতিসঙ্ঘের হিসাব মতে,গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসাথে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিসরের ১১ টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫শ-৬শ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।

ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে,গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২শ ৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে। সূত্র : আনাদোলু

১৯ এপ্রিল ২০২৫
এজি