চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মেহগনী ও বিভিন্ন ফলাদি গাছসহ প্রায় শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। ৪ জানুয়ারি সোমবার সকালে উপজেলার ১ নং বালিথুবা ইউনিয়নের মদনের গাঁও গ্রামের মেহেরুল্লাহ খান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় দুইজন গুরুতর আহত হয়। আহতরা হলেন মৃত রুস্তম খানের স্ত্রী কুলসুমা বেগম (৭৫) ও তার নাতি মোহাম্মদ ইসমাইল (৩২)।
ভুক্তভোগী বৃদ্ধা কুলসুমা বেগম ও তার পরিবারের লোকজন জানায়, মৃত রুস্তম খানের ছেলে প্রবাসী মিরন খান ২০১৫ সালে পার্শ্ববর্তী বাড়ির সন্তোষ চন্দ্র রায়ের কাছ থেকে ৫৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ক্রয় কৃত সেই জমিতে চলাচলের রাস্তার পাশে মেহগনি গাছ, সুপারি গাছ, এবং কলা গাছ সহ প্রায় শতাধিক কাঠ ও ফলের গাছ ছিলো।
তাদের অভিযোগ সোমবার সকালে একই এলাকার মৃত গোলাম মোস্তফা টেলু খানের পুত্র দিদার খান, ইকবাল খান ও মঞ্জিল খান সহ অজ্ঞাত আরো ২৫/৩০ জন মিলে অতর্কিত ভাবে তাদের ওই গাছ গুলো কর্তন করে ফেলে দেন। তাদের অভিযোগ তারা কোনো কিছু না বলেই এলোপাতাড়ি ভাবে এসব গাছগুলো কেটে ফেলে দেন।
এ সময় মিলন খানের মাতা বৃদ্ধা কুলসুমা বেগম ও মিরণ খানের ভাগিনা ইসমাইল হোসেন তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে তারা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করেন। এসময় তারা জমির মালিক প্রবাসী মিরণ খানকে দেশে ফিরলে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করেন। একই সাথে হামলাকারীরা তাদের মোবাইল ফোন ভাঙচুর এবং স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় বলেও ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ।
শত্রুতার জের ধরে এভাবে অমানবিক হয়ে এসব ফলফলাদি এবং কাঠ গাছ কেটে ফেলের বিষয়টি এলাকার লোকজন ঘৃনার চোখে দেখছেন। যা খুবই দুঃখজনক। বৃক্ষের প্রতি এমন আচরনে এলাকারবাসির মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। কোন কারন ছাড়াই তারা এভাবে গাছ কাটার বিরুদ্ধে মিরণ খানের পরিবার মামলার প্রস্ততি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দিদার খানের সাথে কথা বলতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন তিনি ঢাকায় রয়েছেন।
তবে দিদার খানের চাচা তাজুল ইসলাম খান জানান, আমরা আমাদের জমির গাছ কেটেছি।। সেখানে আমাদের বিভিন্ন দাগে মোট ৭ একর ২০ শতাংশ জমি রয়েছে। মিরনকে আমরা অন্য দাগে তার ক্রয়কৃত ২০ শতাংশ জমি বুঝিয়ে দিয়েছি। যে গাছ কাটা হয়েছে, সেগুলো আমাদের জমির।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,৫ জানুয়ারি ২০২১