কচুয়া উপজেলার সাজিরপাড় রাস্তা সংলগ্ন নতুন বাড়িতে দুবাই প্রবাসী রবিউল আলমের বাড়ির বিভিন্ন জাতের গাছের চারা কর্তন ও তার স্ত্রী সুমাইয়া খান মুক্তাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রবাসী রবিউল আলমের স্ত্রী সুমাইয়া খান মুক্তা বাদী হয়ে বুধবার প্রতিপক্ষ বুধুন্ডা গ্রামের কামাল হোসেনসহ ৫জনকে অভিযুক্ত করে চাঁদপুরের মোকাম বিজ্ঞ আমলী আদালতে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।
বিজ্ঞ আদালতের দেয়া এজহার ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুধুন্ডা গ্রাম থেকে সাজিরপাড় গ্রামে রাস্তা সংলগ্ন পশ্চিম পাশে দুবাই প্রবাসী রবিউল আলম নতুন বাড়ি নির্মান করে প্রায় ৮ বছর ধরে শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করে আসছেন।
সম্প্রতি বুধুন্ডা গ্রামের মৃত. নুর মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন তার বাড়ির সংলগ্ন দক্ষিন পাশে জায়গা ক্রয় করে রবিউল আলমের কিছু অংশ জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে। মঙ্গলবার জোরপূর্বক রবিউল আলমের সীমানার রেনট্রিকড়ি,সুপারি,আম,কাঠাল ও পেপে গাছসহ বেশকিছু বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ কেটে বিনষ্ট করে ফেলে। এতে প্রবাসী রবিউল আলমের স্ত্রী সুমাইয়া খান মুক্তা বাধা দিলে তারা দলবল নিয়ে তাকে বেদম মারধর করে।
সুমাইয়া খান মুক্তা বলেন, আমাদের জমি-জমা দখলের চেষ্টার খবর পেয়ে আমি কয়েক দিন আগে দুবাই থেকে দেশে আসি। মঙ্গলবার বুধুন্ডা গ্রামের অধিবাসী আমার বাড়ির পাশের প্রতিবেশী কামাল হোসেন আমাদের দখলীয় জায়গায় বিভিন্ন গাছ-গাছালি কাটার চেষ্টা করে। এসময় আমি বাধা দিলে দলবল নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়।
মারধরের ঘটনায় আমি চাঁদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেই এবং ন্যায় বিচার পেতে আদালতে অভিযোগ দিয়েছি। বর্তমানে আমার এক ছেলে মেয়ে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এসময় হামলাকারীরা আহত সুমাইয়া খান মুক্তার ১ভরি ওজনের স্বনের চেইন নিয়ে যায় এবং তাকে শ্লীতাহানি চেষ্টা করে বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন।
সুমাইয়া খান মুক্তা আরো বলেন, কামাল হোসেনের অত্যাচারে আমি অতিষ্ঠ। আমি ন্যায় বিচার পেতে প্রশাসন সহ এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।
এদিকে অভিযুক্ত কামাল হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওইদিন আমি গাছ কাটেনি এবং সুমাইয়া খান মুক্তাকে মারধর ও তাদের জমি দখলের চেষ্টা করিনি।
কচুয়া প্রতিনিধি