চাঁদপুর ফরিদগঞ্জের ৬নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের ধোপা বাড়ির অঞ্জলী রানী দাস (৬০) নামে বৃদ্বাকে তার বসত ঘরেই গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর অঞ্জলী রানীর ঘরের বাইরে তালা মেরে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
২২ জুলাই বুধবার সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের পাশপাশি পিবিআই ও সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের আলামত সংগ্রহ করে। সকালে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
পরে নিহতের ভাই অমর কৃষ্ণ দাস বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজাদ নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় লোকজন জানায়, খাজুরিয়া গ্রামের ধোপা বাড়ির প্রয়াত ইন্দ্রজিৎ দাসের বিধবা স্ত্রী অঞ্জলী রানী দাসের ছোট বোন পূর্ণিমা ও বোনের জামাতা খোকন ২১ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর থেকে নিহতের বাড়িতে বেড়াতে আসেন । এসময় তারা অঞ্জলী রানী দাসের ঘরের দরজায় তালা মারা দেখতে পান। অঞ্জলী দাস কোথায় গেছে এই বিষয়ে আশপাশের লোকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, সোমবার দুপুরের পর থেকে অঞ্জলী দাসকে দেখতে পায়নি তারা। পরে ঘরের জানালায় দিয়ে উঁকি দিয়ে ঘরের মেঝেতে অঞ্জলীর রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান। ধারনা করা হচ্ছে সোমবারে যেই কোন একসময় দূর্বৃত্তরা নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
নিহত অঞ্জলীর ভাই অমর কৃষ্ণ দাস জানান, প্রায় এক বছর পুর্বে তার বোন অঞ্জলীর স্বামী ইন্দ্রজিৎ মারা যায়। এক মাত্র ছেলে আশীষ চন্দ্র দাস জীবিকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে অবস্থান করছে।
সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিবসহ পুলিশ ফোর্স মঙ্গলবার সন্ধায় ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে বিষয়টি চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেনের মাধ্যমে পিবিআই ও সিআইডিকে অবহিত করা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন , পিবিআই ও সিআইডি ঘটনাস্থলে ছুটে এসে অপরাধের আলামত সংগ্রহ করে।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব চাঁদপুর টাইমসকে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের ভাই অমর কৃষ্ণ দাস বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে আজাদ নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
প্রতিবেদক : শিমুল হাছা্ন, ২২ জুলাই ২০২০