কচুয়ায় ভুল চিকিৎসায় ৩টি গরু অসুস্থ্য, অবশেষে জবাই

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের প্রসন্নকাপ গ্রামে এক পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় ৩টি গরু গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ওই গরুগুলো পৃথক ভাবে জবাই করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ গরুর মালিক কৃষক ওমর ফারুক প্রধান বাদী হয়ে ক্ষতিপূরণ চেয়ে অভিযুক্ত পশু চিকিৎসক সুমন মেম্বারের বিরুদ্ধে রোববার কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

থানায় লিখিত অভিযোগ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রসন্নকাপ গ্রামের কৃষক ওমর ফারুক প্রধানের করইশ জাতের ছোট-বড় ৬টি গরু রয়েছে। তন্মধ্যে ১টি বড় গরুর জ্বর দেখা দিলে বৃহস্পতিবার পাশ^বর্তী মুরাদপুর গ্রামের অধিবাসী চৌমুহনী বাজারের পশু চিকিৎসক (কৃত্রিম প্রজনন কর্মী) সাবেক ইউপি সদস্য সুমন মিয়াকে খবর দেন। এসময় সুমন মেম্বার কৃষক ফারুক প্রধানের ৩টি গরুর তাপমাত্রা মেপে প্রতিটি গরুকে ইনজেকশন পুশ করেন।

এতে করে পরদিন শুক্রবার সকালে প্রথমে একটি গরু অসুস্থ্য হলে স্থানীয় লোকজনের পরামর্শে জবাই করা হয়। একই ভাবে বিকালে পরপর অপর দুটি গরুও অসুস্থ্য হয়ে পড়লে স্থানীয়দের পরামর্শে ওই দুটি গরুকেও জবাই করা হয়।

কৃষক ওমর ফারুক প্রধান বলেন, আমার গরু গুলোকে পশু চিকিৎসক সুমন মেম্বার মেয়াদহীন ইনজেকশন পুশ করায় অসুস্থ্য হয়ে পড়ে,এতে আমার প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধান হয় এবং তাকে বারবার ফোন করার পরও তিনি গরু গুলোকে দেখতে আসেননি। এ অবস্থায় পশু চিকিৎসক সুমন মেম্বারকে দায়ী করে ক্ষতিপূরন দাবি করেন তিনি।

অভিযুক্ত পশু চিকিৎস্যক সুমন মেম্বার বলেন, আমার আগেও অপর একজন চিকিৎসক ওই গরু গুলোকে চিকিৎসা করেন। গরু গুলোর খুড়া রোগে (ছোয়াছোয়ি) আক্রান্ত হওয়ায় খুবই জ্বর ছিল। আমি চিকিৎসক হিসেবে ইনজেকশন দিয়ে চেষ্টা করেছি গরুগুলো ভালো করে তুলতে। তবে মেয়াদহীন ইনজেকশনে বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। এদিকে এলাকাবাসী এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে কৃষক ওমর ফারুক প্রধানকে ক্ষতিপূরন দেয়ার দাবি জানিয়েছে।

কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কচুয়া প্রতিনিধি

Share