কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে ট্রলারযোগে গরু-মহিষ আসতে শুরু করেছে টেকনাফে। গত সপ্তাহে শাহপরীর দ্বীপ করিডর দিয়ে মিয়ানমার থেকে ৩ হাজারের অধিক গবাদিপশু ঢুকেছে বাংলাদেশে। কিন্তু এসব পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কা রয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছে স্থানীয় সচেতন মহল।
এদিকে আমদানি পশু এলাকায় তোলার পর পাইকারি দামে চলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম,কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এতে সরকারের রাজস্বের পাশাপাশি দেশীয় বাজারে পশুর চাহিদা মেটাতে সহযোগিতা হবে বলে জানান গরু ব্যবসায়ীরা।
শুল্ক স্টেশন সূত্র মতে, চলতি অর্থবছরের শেষ সময়ে বৈরী আবহাওয়া ও মিয়ানমারের সমস্যার কারণে বেশ কিছুদিন পশু আমদানি বন্ধ ছিল। কিন্তু গত জুন মাস থেকে সমুদ্রপথে ট্রলারযোগে কোরবানির পশু আসতে শুরু করেছে। গত ১০ দিনে প্রায় ৪ হাজারের অধিক গরু ও ৮শর মতো মহিষ এসেছে মিয়ানমার থেকে।
স্থানীয় সূত্র জানায়,চলতি মাসে ১০ হাজার গরু-মহিষ করিডর দিয়ে আনার কথা রয়েছে। গত অর্থবছরের জুলাইয়ে মিয়ানমার থেকে গরু-মহিষ আসে প্রায় ১৫ হাজার।
পশু আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন,‘শাহপরীর দ্বীপ করিডর দিয়ে সারা বছর মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু আমদানি হয়ে থাকে। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে সারা দেশে সরবরাহ করা হয়। করিডর দিয়ে পশু আমদানি করে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় হলেও কোনো ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা ’
টেকনাফ শুল্ক কর্মকর্তা আব্দুন নুর বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে আসা গরু-মহিষ থেকে ৫০০ ও ছাগল থেকে ২৫০ টাকা রাজস্ব আদায় হয়। ঈদকে সামনে রেখে আমদানিকারকদের আরও বেশি মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’
টেকনাফ বিজিবি-২ অধিনায়ক লে.কর্নেল ফয়সল হাসান খান বলেন,‘সমুদ্রপথে মিয়ানমার থেকে পশুবোঝাই ট্রলারে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে সতর্ক নজর রয়েছে বিজিবির। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে পশু আমদানি নির্বিঘ্ন করতে বিজিবি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।’
বার্তা কক্ষ,৩ জুলাই ২০২১
এজি