Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ায় গরু চুরির মামলার রহস্য উদঘাটন, ৭ আসামি জেলহাজতে
গরু চুরির

কচুয়ায় গরু চুরির মামলার রহস্য উদঘাটন, ৭ আসামি জেলহাজতে

সম্প্রতি সময়ে কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গরু চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় গরুর মালিক ও সাধারণ মানুষ যখন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে সেই সময়ে চোর চক্রের মূল দুই হোতা রাসেল ও লিটনকে গ্রেফতার করে গরু চুরির রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।

১০ আগস্ট মঙ্গলবার কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন তাঁর নিজ কার্যালয়ে কচুয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের লিখিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেন।

কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন এর দেয়া প্রেস নোট থেকে জানা যায়, গত ৫ জুলাই হাজীগঞ্জের জয়শরা গ্রামের তালুকদার বাড়িতে গরু চুরি করার সময় মতলব দক্ষিণ উপজেলার গাবুরা গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে মো. শরীফ হোসেন (২৬), একই উপজেলার মকিমাবাদ গ্রামের মৃত. রেনু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) ও জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সাকিব (২০),চান্দিনা উপজেলার সুড়িখোলা গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে সজীব (২৬) হাতে নাতে আটক করা হয়।

এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় তৎকালীন সময়ে একটি মামলা হয়। যার নং- ০৩, তারিখ: ০৫.০৭.২০২১ খ্রি:।

ওই মামলায় আসামী হিসেবেআটককৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে আসামি শরীফ হোসেন বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে হাজীগঞ্জের এরশাদ,কচুয়ার বিতারা গ্রামের রাসেল,একই উপজেলার তেতৈয়া গ্রামের লিটনসহ বিতারা গ্রামের অন্যান্য পলাতক আসামী কচুয়া ও হাজীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে চুরি সংঘটিত করে থাকেন বলে জানান।

এদিকে কচুয়া থানার মামলা নং- ২,তারিখ: ০৬.০৭.২০২১ খ্রি: ওই মামলার প্রেক্ষিতে গত ৭ আগষ্ট কচুয়া থানা পুলিশ বিতারা গ্রামের হামিদ আলী মাষ্টারের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৮) এবং অপর আসামী তেতৈয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে লিটন মিয়া (৩৪)কে ৯ আগস্ট গ্রেফতার করে পৃথক ভাবে জেল হাজতে প্রেরন করে কচুয়া থানা পুলিশ।

পরবর্তীতে আসামি লিটন মিয়া স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন যে, সে কচুয়ার বিতারা গ্রামের রাসেলসহ অন্যান্য পলাতক গরু চোর,হাজীগঞ্জের এরশাদ, জাহাঙ্গীর, সজীব ও মতলব দক্ষিণ এলাকার শরীফসহ অন্যান্য পলাতক চোরগন ১ জুলাই মধ্যরাতে কচুয়া উপজেলার দারাশাহী-তুলপাই গ্রামের পশু চিকিৎসক আলমগীর হোসেনের গোয়াল ঘর থেকে দুটি গরু, এর আগে ৮ মার্চ একই উপজেলার নাউলা গ্রাম থেকে জনৈক সেলিম মিয়ার গোয়াল ঘর থেকে ৪টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়।

উল্লেখিত চোরাই গরু গুলো বিতারা গ্রামের রাসেল মিয়াসহ অন্যান্য আসামীদের হেফাজতে রাখে এবং তাদের পিকআপ দিয়ে বিভিন্ন স্থানে চুরি করা গরু বিক্রি করে থাকে এবং ওই চুরিতে রাসেল মিয়া নেতৃত্ব দেন বলে ওসি লিখিত প্রেসনোটে উল্লেখ করেন।

কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন জানান, আমরা গত কয়েক দিন ধরে কচুয়া ও পাশ্ববর্তী হাজীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গরু চোর চক্রের ৭জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করি।

আটককৃতরা হচ্ছেন, কচুয়া উপজেলার বিতারা গ্রামের রাসেল মিয়া,তেতৈয়া গ্রামের লিটন মিয়া,হাজীগঞ্জের এরশাদ,জাহাঙ্গীর,সাকিব,মতলব দক্ষিনের শরীফ ও কুমিল্লার চান্দিনার সজীব।

আটককৃতদের গ্রেফতারের ফলে গরু চুরির মামলার মূল রহস্য উদঘাটন হয় এবং অন্যান্য পলাতক চোরদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

কচুয়া প্রতিনিধি