ইংল্যান্ডে গনোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, যা গত ১০০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর দেশটিতে ৭০ হাজার ৯৩৬ জন গনোরিয়ায় আক্রান্ত হন। এই সংখ্যা ২০১৮ সালের চেয়ে এক চতুর্থাংশেরও বেশি এবং ১৯১৮ সালের পর কোনো বছরে সর্বোচ্চ আক্রান্ত।
পাবলিক হেল্থ ইংল্যান্ডের (পিএইচই) এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ সালে গনোরিয়া, ক্ল্যামিডিয়া এবং সিফিলিসের বৃদ্ধির পরিমাণ ১৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সীদের মধ্যে বেড়েছে। ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের এই রোগ ২৮ শতাংশ বেড়েছে।
গনোরিয়া একটি যৌনবাহিত রোগ। নিশেরিয়া গনোরি নামক জীবাণু এই রোগের জন্য দায়ী। পুরুষের ক্ষেত্রে সাধারণত প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া (ডিজইউরিয়া) ও মূত্রনালি দিয়ে পূজ বের হয়। স্ত্রীলোকের ক্ষেত্রে অনেক সময় কোনো লক্ষণ থাকে না আবার কারো ক্ষেত্রে যোনিপথে পূজ বের হয় এবং তলপেটে ব্যথা হতে পারে। সময়মতো এই রোগের চিকিৎসা না করালে পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই এই রোগ আশপাশে ছড়িয়ে যেতে পারে এবং পুরুষের এপিডিডাইমিস ও নারীর তলপেটে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। গনোরিয়া সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমনকি এটি শরীরের অস্থিসন্ধিগুলো ও হার্টের ভালবকেও আক্রান্ত করতে পারে।
২৫ বছরের নিচে যৌনকার্যে সক্রিয় নারীদের প্রতিবছর এই রোগের পরীক্ষা করানো উচিত। সমকামী পুরুষদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যৌনমিলনের সময় কনডম ব্যবহার করে গনোরিয়া প্রতিরোধ করা যায়।
বার্তাকক্ষ,০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০;
কে. এইচ