গত ১৫ বছর শিল্প-সংস্কৃতির সাথে আমরা কাজ করতে পারিনি : অ্যাড. সলিম উল্ল্যাহ সেলিম
১৪ দিনব্যাপি মেইড ইন চাঁদপুর কালচারাল ফেস্টিভ্যাল উদ্বোধন হয়েছে। ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এ. কে. এম সলিম উল্ল্যাহ সেলিম। তিনি বক্তব্যে বলেন, একটি জাতি বা দেশ শিল্প সংস্কৃতিতে অংশ নিতে হবে। ধর্মীয় মূল্যবোধের পাশাপাশি শিল্প সংস্কৃতির বিকাশ ছাড়া জাতি সমৃদ্ধ হতে পারে না।আমাদের সবার আগে দেশ। একটি জাতিকে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের শিল্প সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে বিএনপি। গত ১৫ বছর শিল্প- সংস্কৃতির সাথে আমরা কাজ করতে পারিনি। তবে অনুষ্ঠানের তাৎপর্য উপভোগ করতে সকল ধর্মের মানুষকে আহ্বান জানাই। ৫৭ ধর্মের মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করে। সকলকে আমরা এক কাতারে দেখতে চাই। আমরা সংখ্যালঘুতে বিশ্বাসী না। আমরা ঐক্যে বিশ্বাসী। মৌলবাদীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে, তা না হলে আমাদের এই শিল্পকলা থাকবে না। আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে সকলে কাজ করবেন। একটি কথা মনে রাখবেন বিএনপি সবসময় আপনাদের পাশে থাকবেন, আবার বিএনপিও আপনাদের পাশে আছে।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও মেইড ইন চাঁদপুর কালচারাল ফেস্টিভ্যাল সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক দেওয়ান মোঃ সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ খলিলুর রহমান গাজী। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. মুনিরা চৌধুরী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. কোহিনুর বেগম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেইড ইন চাঁদপুর কালচারাল ফেস্টিভ্যাল সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব মঈনুদ্দিন লিটন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন শিশু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহাবুব আনোয়ার বাবলু, সহ-সভাপতি ডি এম.শাহাজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মুনীর চৌধুরী, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক অ্যাড. হারুনুর রশিদ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজালাল মিশন,
সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী ঢালী, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. জসিম মেহেদী, জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার, জেলা জাসাসের আহ্বায়ক কাজী মাইনুল হক জীবন, সদস্য সচিব মোবারক সিকদারসহ বিভিনন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে ১৪ দিনব্যাপি মেইড ইন চাঁদপুর কালচারাল ফেস্টিভ্যালের উদ্বোদন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালি ও পতাকা উত্তোলন করা হয়।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন ১০ অক্টোবর শুক্রবার: বিকেল ৩টায় একক গানের প্রতিযোগিতা (ছড়া গান ও দেশের গান)।মুক্ত বৈঠক (প্রতিদিন প্রতিযোগিতা শেষে অবিভাবকদের অংশগ্রহনে) প্রতিদিনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিযোগিদের মেডেল প্রদান। সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে আনন্দধ্বনি সংগীত শিক্ষায়তনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। ৭টা ৪৫ মিনিটে নৃত্যানুষ্ঠান। উৎসবের তৃতীয় দিন ১১ অক্টোবর শনিবার বিকেল ৩টায় একক গানের প্রতিযোগিতা (আধুনিক গান ও লোক গান)। মুক্ত বৈঠক (প্রতিদিন প্রতিযোগিতা শেষে অবিভাবকদের অংশগ্রহনে) প্রতিদিনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিযোগিদের মেডেল প্রদান। সন্ধ্যা ৬াটা ৪৫ মিনিটে সুরধ্বনি সংগীত একাডেমির সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। রাত ৮টা ১০মিনিটে চাঁদপুর সরকারি কলেজ নাট্যমঞ্চের নাটক। উৎসবের ৪র্থতম দিন ১২ অক্টোবর রবিবার বিকেল ৩টায় একক নাচের প্রতিযোগিতা (রবীন্দ্র সংগীতের সাথে ও নজরুল সংগীতের সাথে)। মুক্ত বৈঠক (প্রতিদিন প্রতিযোগিতা শেষে অবিভাবকদের অংশগ্রহনে) প্রতিদিনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিযোগিদের মেডেল প্রদান। সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে বহুবচন আবৃত্তি সংগঠনের পরিবেশনা। ৮টায় নৃত্যানুষ্ঠান।
উৎসবের পঞ্চম দিন ১৩ অক্টোবর সোমবার: বিকেল ৩টায় দলীয় নাচের প্রতিযোগিতা (দেশের গানের সাথে ও লোক গানের সাথে)। মুক্ত বৈঠক (প্রতিদিন প্রতিযোগিতা শেষে অবিভাবকদের অংশগ্রহনে) প্রতিদিনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিযোগিদের মেডেল প্রদান। সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে সুরসাধন শিল্পীগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে প্রতিভা সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। রাত ৮টা ১০মিনিটে অনুপম নাট্যগোষ্ঠীর নাটক।
উৎসবের ষষ্ঠতম দিন ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার: বিকেল ৩টায় একক ও দলীয় অভিনয় প্রতিযোগিতা। মুক্ত বৈঠক (প্রতিদিন প্রতিযোগিতা শেষে অবিভাবকদের অংশগ্রহনে) প্রতিদিনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিযোগিদের মেডেল প্রদান। সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে স্বদেশ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে ফিউচার নুত্য সংগঠনের পরিবেশনা। রাত ৮টা ১০মিনিটে স্বরলিপি নাট্যগোষ্ঠীর নাটক।
উৎসবের সপ্তমতম দিন ১৫ অক্টোবর বুধবার: বিকেল ৩টায় একক ও দলীয় আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। মুক্ত বৈঠক (প্রতিদিন প্রতিযোগিতা শেষে অবিভাবদের অংশগ্রহনে) প্রতিদিনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিযোগিদের মেডেল প্রদান। সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে অগ্নিবীণা সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। রাত ৮টা ৫মিনিটে চাঁদপুর ড্রামার নাটক।
উৎসবের অষ্টমতম দিন ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার: বিকেল ৩টায় ৪টি বিভাগে ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা । স্থান: মুনিরা ভবন (চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক এর বাসভবন)
উৎসবের নবমতম দিন ১৭ অক্টোবর শুক্রবার: বিকেল ৫টায় লালন দর্শণের উপর আলোচনা সভা। সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজেনে লালন ও বাউল গানের অনুষ্ঠান।
উৎসবের ১০তম দিন ১৮ অক্টোবর শনিবার: বিকেল ৩টায় সাধারন জ্ঞান প্রতিযোগিতা (দর্শদের মধ্য থেকে অংশগহণ)। মুক্ত বৈঠক (প্রতিদিন প্রতিযোগিতা শেষে অবিভাবকদের অংশগ্রহনে) প্রতিদিনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিযোগিদের মেডেল প্রদান। সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে সপ্তরূপা নৃত্য শিক্ষালয়ের পরিবেশনা। রাত ৮টায় বর্ণচোর নাট্যগোষ্ঠীর নাটক।
উৎসবের ১১তম দিন ১৯ অক্টোবর রবিবার: বিকেল ৩টায় সংসদীয় বির্তক (দর্শকদের অংশগ্রহণ)। মুক্ত বৈঠক (প্রতিদিন প্রতিযোগিতা শেষে অবিভাবদের অংশগ্রহনে) প্রতিদিনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিযোগিদের মেডেল প্রদান। সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে বঙ্গজ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে বাঁধন নৃত্য সংগঠনের পরিবেশনা। রাত ৮টা ১৫ মিনিটে মেঘনা থিয়েটারের নাটক।
উৎসবের ১২তম দিন ২০ অক্টোবর সোমবার: বিকেল ৩টায় উপস্থিত দর্শকদের অংশগ্রহণে সেমিনান (বিষয়:কেমন চাঁদপরি চাই)। মুক্ত বৈঠক (প্রতিদিন প্রতিযোগিতা শেষে অবিভাবকদের অংশগ্রহনে) প্রতিদিনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিযোগিদের মেডেল প্রদান। সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে পুনাক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। রাত ৮টা ১৫ মিনিটে অরূপ নাট্যগোষ্ঠীর নাটক।
উৎসবের ১৩তম দিন ২১ অক্টোবর মঙ্গলবার: বিকেল ৩টায় স্বদেশী পোষাকে পুরুষ প্রতিযোগিতা (সবার জন্য উন্মুক্ত)। প্রতিদিনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিযোগিদের মেডেল প্রদান। সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে জাতীয় রবীন্দ্রসয়গীত সম্মিলন পরিষদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে সংগীত নিকেতনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
২২অক্টোবর বুধবার: বিকেল ৩টা রান্না ও কুইজ (নারী অবিভাবক ও গৃহিনীদের জন্য)। সন্ধ্যা ৬টায় দোয়েল সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সন্ধ্যা ৭টায় জয়ধ্বনি সংগীত বিদ্যায়তনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। রাত ৮টায় অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর নাটক।
২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার: ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী প্রতিযোগীদের চিত্রকলা প্রদর্শণী। সন্ধ্যা ৬টায় রংতুি্ল সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের পরিবেশনা। রাত ৮টায় বর্ণমালা থিয়েটারের নাটক।
২৪ অক্টোবর শুক্রবার সমাপনী দিনে গ্র্যান্ড প্রাইজ গিভিং ও উৎসব সমাপনী অনুষ্ঠান। আলোচনা সভা (অতিথি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আমন্ত্রিত কেন্দ্রীয় অতিথি ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক)। সবশেষে জাসাসের কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিবেদক: মাজহারুল ইসলাম অনিক/
৯ অক্টোবর ২০২৫