জাতীয়

গণভবন জনগণের ভবন : প্রধানমন্ত্রী

গণভবন জনগণের ভবন । সবসময় এর দ্বার উন্মুক্ত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আগে জানালে এ সম্মেলন গণভবনে আয়োজন করা যেত। আগামি সম্মেলনে গণভবনে আপনাদের দাওয়াত থাকল।

রোববার ২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আইডিইবি’র ২৩ তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে স্কিলস রেডিনেস ফর অ্যাচিভিং এসডিজি এবং এডপ্টিং আইআর ৪.০ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে ভূমিকা পালনেরও আহ্বান জানান।

এসময় দু’ সিটির নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ ঢাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা। যারা নৌকায় ভোট দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণের মেয়রদের জয়যুক্ত করেছেন তাদের ধন্যবাদ, অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় বাংলাদেশের কথা বললে ভিক্ষার ঝুলির কথা বলা হত। সেই বাংলাদেশ আর নেই। ১০ বছরে বাংলাদেশের পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সামনে উন্নয়নের রোল মডেল।  এ বাংলাদেশ আগের বাংলাদেশ নয়। আমাদের একটি লক্ষ্য আছে, সেটি পূরণ করতে চাই।   ২০২৪ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। সেই পর্যন্ত আমাদের এখনকার পরিস্থিতি ধরে রাখতে হবে।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের ক্ষেত্র বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রতি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল কলেজ নির্মাণ করা হচ্ছে।  ৩২৯ উপজেলায় ২০ হাজার ৫২৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে দক্ষ নাগরিক গঠনের কাজ ত্বরান্বিত হবে।’

ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দাবিসমূহ যথাযথভাবে জানানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ বাজেটের আগে যদি ইনক্রিমেন্টসহ দাবি সামনে আনা যায় তাহলে কিছু একটা সমাধানের ব্যবস্থা হয় । ’

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতর্বষ পালনের নানা কর্মসূচির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন উদযাপন করবেন তখন সবচেয়ে বড় কর্মসূচি হবে- পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নেয়া। ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ করুন। আপনারা সারাদেশে কাজ করেন সেটা লক্ষ করতে হবে।

আমরা ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ছি যেন কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমাদের দেশে বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠী বাস করে। খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি বসবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা চাই একটি মানুষও যেন গৃহহীন না থাকে। বাংলাদেশে প্রতিটি গৃহহীন মানুষ বসবাসের উপযোগী একটি ঘর পাবে মুজিববর্ষে সেটি আমাদের লক্ষ্য। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি।

মানুষের মৌলিক চাহিদা একে একে পূরণ করছি। আপনাদের কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ রক্ষা উন্নয়ন যেন ভালোভাবে হয় সেটি লক্ষ্য করবেন। অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের ক্ষেত্র বাড়বে।’

ঢাকা ব্যুরো চীফ , ২  ফেব্রুয়ারি ২০২০

Share