করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে আসন্ন ঈদুল আজহার পাঁচ দিন আগে থেকে এবং ঈদের তিন দিন পর পর্যন্ত মোট ৯ দিন গণপরিবহন নয়, বন্ধ থাকবে যেকোনো ধরনের পণ্যবাহী যানবাহন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রথমে গণপরিবহন বন্ধের কথা জানালেও পরে পণ্যবাহী যানবাহন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ঈদুল আজহার পাঁচ দিন আগে ও তিন দিন পর গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলে সরকারের নির্দেশনা পেয়েছেন জানালেও সভা শেষে বললেন ভিন্ন কথা। ঈদুল আজহার আগে গণপরিবহন বন্ধের নির্দেশনাকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণপরিবহন নয়, বন্ধ থাকবে পণ্য পরিবহন।
১৫ জুলাই বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি, স্টিমার চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ কর্মপন্থা নির্ধারণ সংক্রান্ত বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন প্রতিমন্ত্রী।
সভার শুরুতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকে এবং ঈদের পরে তিন দিন গণপরিবহন বন্ধ রাখার বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন আমরা পেয়েছি। মিটিং করে সেই আলোকেই আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা ঈদে বাড়ি যেতে চায় তাদের ঈদের পাঁচ দিন আগেই যেতে হবে। যারা আসতে চায় তাদের তিন দিন পরেই আসতে হবে।’
বৈঠক শেষে আবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজ বৈঠকের আগেও আমরা বলেছিলাম ঈদের আগের পাঁচ দিন এবং পরে তিন দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সেটা একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে পণ্যবাহী যেকোনো পরিবহন বন্ধ থাকবে।’
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে তার কথা হয়েছে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এখানে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা হচ্ছে ঈদের আগে পাঁচ দিন ও পরে তিন দিন পণ্যবাহী যে কোনো ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকবে। কিন্তু আমাদের গণপরিবহন, গণপরিবহনের একটা অংশ যাত্রীবাহী লঞ্চ বা ফেরি চালু থাকবে।’
ট্রেন বা বাসও কি চলাচল করবে- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এটার সমন্বয় করে নেব। আমি যতটুকু বুঝতে পারছি ট্রেন-বাসও চলবে।’
পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঈদের সময় গণপরিবহন চলা বা না চলা নিয়ে তো আর কোনো সংশয় নেই। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী তো পরে বিষয়টি পরিষ্কার করেই দিয়েছেন।’
জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।
করোনা বিস্তাররোধে সব সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের সরকারি বা ঐচ্ছিক ছুটিতে আবশ্যিকভাবে কর্মস্থলে অবস্থানের জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এবার ঈদুল আজহার ছুটি বাড়ছে না, ছুটি তিন দিনই থাকছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বার্তা কক্ষ, ১৫ জুলাই ২০২০