গণপরিবহণ বন্ধে ৪ গুণ বেশি ভাড়ায় যাতায়াত

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে পরিবহণ মালিক সমিতির লাগাতার ধর্মঘট চলছে। সকাল থেকেই সড়কে কোনো যাত্রীবাহী বাস নেই, পণ্যবাহী ট্রাকেও দেখা নেই।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হঠাৎ গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বাস না পেয়ে ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে চড়তে হচ্ছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও রিকশায়।

পকেট কাটা যাওয়ায় যাত্রীদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আবার অনেকে বিরক্ত হয়ে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের দিকে ছুটে চলেছেন।

সকাল সোয়া ৮ টার দিকে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায় মানুষের জটলা। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও তারা বাস পাননি। যাও দু একটা বিআরটিসি পরিবহণ অনেক পর পর আসছে তাতে এত ভিড় যে, উঠার কোনো জো নেই।

আবদুল্লাহপুর স্ট্যান্ডে কথা হয় রুহুল আমিন নামে এক যুবকের সঙ্গে। তিনি জানান, বিকালে ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা। সিট পড়েছে ধানমন্ডির একটি কেন্দ্রে। বাস বন্ধ থাকবে এমন সম্ভাবনার কথা গতকাল গণমাধ্যমে জেনে সকালেই রওনা হয়েছেন পরীক্ষা কেন্দ্রের দিকে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বাস না পেলে পায়ে হেঁটেই যেতে হবে।

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকার সড়কে কথা হয় রাজিয়ান নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবীর সঙ্গে। তিনি জানান, জরুরি কাজে অফিসে যেতে হবে। বাস না পেয়ে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে যেতে হচ্ছে। চার গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে মতিঝিল যেতে হচ্ছে।

রুবাবা নাসরিন নামে এক নারী জানান, এক ঘণ্টা ধরে উত্তরা আজমপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছেন। সড়কে কোনো বাস নেই। সিএনজি অটোরিকশাগুলো তিন গুণ ভাড়া বেশি দাবি করছে। তার প্রশ্ন এই দুর্ভোগের শেষ কোথায়?

রাজধানীর মহাখালী, ফার্মগেট, বাড্ডা, গুলিস্তান, কাকরাইল, মিরপুরেও একই চিত্রের খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি গেজেটে লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম। বুধবার রাত থেকেই নতুন মূল্য কার্যকর হয়েছে। জালানি তেলের দাম কমানোর দাবিতে শুক্রবার থেকে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিবহণ মালিক সমিতি।

Share