‘গণতন্ত্রের নামে মানুষের অধিকার হরণ, হত্যা, ষড়যন্ত্র-সবই দেখেছি’

শিক্ষমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৮ সালের কথা নতুন করে বলার কিছুই নেই। গণতন্ত্রের নামে মানুষের অধিকার হরণ, হত্যা, ষড়যন্ত্র-সবই দেখেছি।  এরপর যে নির্বাচন হয়েছিল তার যা কিছু ভালো তার সবকিছু হয়েছিল শেখ হাসিনার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে।  যার ফলে আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সংস্কার হয়েছিল, এর ফলে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পেয়েছিলাম। এসব কিছুই হয়েছিল শেখ হাসিনার আন্দোলন ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে। 

জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ‘হাসিনোমিক্স: বাংলাদেশ একটি উন্নয়ন বিস্ময়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন,১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের জয়ের পর মনে হয়েছিল বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হলো। আমরা মুক্ত স্বাধীনভাবে ‘জয় বাংলা’ বলতে পেরেছি, বঙ্গবন্ধুর নাম বলতে পেরেছি, ৭ মার্চের ভাষণ শুনতে পেরেছি। যা কিছু বাঙালিদের গর্বের, অর্জনের-সেটা নিয়ে আমরা মন খুলে কথা বলতে পেরেছি। নতুন প্রজন্ম আবার বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস জানার একটা সুযোগ পেয়েছে। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল যখন লোকে বাংলাদেশকে নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করতো। কিন্তু শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে,  বঙ্গবন্ধু যে প্রত্যয় নিয়ে যে স্বাধীন দেশের জন্ম দিয়েছিলেন সেই প্রত্যয়টি আসলে সঠিক ছিল।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশকে নয়, বিশ্বকেও পথ দেখাচ্ছেন। তিনি আজকে শান্তিতে পথ দেখাচ্ছেন, নিরাপত্তায় পথ দেখাচ্ছেন, অর্থনীতিতে পথ দেখাচ্ছেন বলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা যখন এই দেশের ক্ষমতায় আসেন, তখন যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিরা দেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের রক্তচক্ষু, আন্তর্জাতিক মহলের ভ্রুকুটি ও অসহযোগিতা উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী দেশকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। শেখ হাসিনা যেসব বাধা অতিক্রম করে চলছেন, তা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের করতে হয় না।

Share