ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে চার জনের লাশ নিয়ে গেছেন স্বজনরা। পরে আরও পাঁচ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ৩২ লাশ বরগুনা জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে দুই জনের লাশ শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, বেলা ১১টায় জানাজা শেষে বরগুনা পোটকাখালী গণকবরে ৩০ জনের দাফন সম্পন্ন হবে। যাদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি তাদের ডিএনএ সংরক্ষণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নলছিটির সুগন্ধা নদীর পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে আগুন লাগে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জন। ঢাকায় পাঠানো হয়েছে ১৬ জনকে। আহত হয়েছেন শতাধিক।
এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আলমকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
জেলা প্রশাসক জহোর আলী বলেন, ‘ওই কমিটিতে আরও চার জন রয়েছেন। ইতোমধ্যে কমিটি তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন। কমিটিকে লঞ্চ দুর্ঘটনার কারণ এবং কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে এসব জানাতে বলা হয়েছে। আর লঞ্চের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের প্রাথমিক ধারণা কতটা সত্য- তাও বের করতে বলা হয়েছে।’