২০১৫ সালে বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ সফরে এসে ভারতের ব্যাটসম্যানদের পড়তে হয়েছিল বিস্ময়কর এক বোলারের সামনে। ২০ বছরের এক লিকলিকে তরুণের বাঁহাতি বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন ভারতের তারকা ব্যাটসম্যানরা। তিন ম্যাচের অভিষেক সিরিজে মুস্তাফিজুর রহমান নামের এই বিস্ময় বোলার নিয়েছিলেন ১৩টি উইকেট।
এবার এশিয়া কাপের ফাইনালেও আরেক বাঁহাতি পেসার দিয়ে ভারতকে চমকে দেওয়ার ফন্দিই হয়তো আঁটছেন বাংলাদেশের নির্বাচকরা। মুস্তাফিজের ইনজুরির কারণে আবু হায়দার রনিকে এশিয়া কাপের ফাইনালে দেখা যেতে পারে বলে জোর গুঞ্জন বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে।
২০১৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে মুস্তাফিজের সতীর্থ ছিলেন রনি। মুস্তাফিজ যেভাবে অল্প সময়ের মধ্যে ক্রিকেট-বিশ্বের নজর কেড়েছেন, রনি সেভাবে আলোচনায় আসতে পারেননি। তবে নিজের যোগ্যতা ঠিকই প্রমাণ করেছেন তিনি। বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা, বিপিএলে রনিই ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। দারুণ বোলিং করে ১২ ম্যাচে নিয়েছিলেন ২১টি উইকেট। এ বছরের শুরুতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেকও হয়ে গেছে বাঁহাতি এই পেসারের। বছরের শুরুতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে রনি নিয়েছেন তিনটি উইকেট।
ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের মতো ফাইনালেও বাংলাদেশ মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে চার পেসার নিয়ে। আর মুস্তাফিজের ইনজুরির কারণে দলে ঢুকে পড়তে পারেন সত্যিই যদি সুযোগটা এসে যায়, তাহলে রনিও নিশ্চয়ই সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন আস্থার প্রতিদান দেওয়ার। ভারতের ব্যাটসম্যানদের জন্যও রনি হয়ে উঠতে পারেন নতুন চমক।
রনি ছাড়াও বাংলাদেশ দলে ফেরার সম্ভাবনা আছে নাসির হোসেনের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে অনুপস্থিত থাকার পর এশিয়া কাপের দলে ঢুকলেও একটি ম্যাচেও মাঠে নামতে পারেননি এই ডানহাতি অলরাউন্ডার। ফাইনালে নাসিরও হয়ে উঠতে পারেন মাশরাফির তুরুপের তাস।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৬:৩০ অপরাহ্ন, ০৬ মার্চ ২০১৬, রোববার
এমআরআর
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur