স্বাস্থ্য

খিটখিটে বিড়ালওয়ালি!

ইংরেজিতে শব্দটা ‘ক্রেজি ক্যাট লেডিস’ আর বাংলা করলে দাঁড়ায় খিটখিটে বিড়ালওয়ালি। মূলত নিঃসঙ্গ বৃদ্ধার ক্ষেত্রে এই টার্মটা ব্যবহার করা হয়ে ‍থাকে।

একটু বয়স্করা শৈশবের স্মৃতিচারণ করলেই মনে পড়বে- এমন কোনো বৃদ্ধার কথা যিনি হয়তো অধিকাংশ সময় একাই কাটাতেন, যার অনেক বিড়াল ছিলো। মুশকিল হলো তার ধারে-কাছে ঘেঁষা যেতো না।

ভীষণ বদরাগী ওই বৃদ্ধার আশেপাশে গেলেই খিটখিট করতেন। মাঝ বয়সীরাও আশপাশে তাকালে এমন কাউকে খুঁজে পেতে পারেন।

চরিত্রটা প্রায় ক্ষেত্রে একই হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, বিড়াল পোষার সঙ্গে মানসিক সমস্যা বা রোগ হওয়ার কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না।

এই প্রশ্ন ওঠার পরই ইউনিভার্সিটি কলেজ, লন্ডন গবেষণা শুরু করে- বিড়াল বা বিড়ালজাতীয় প্রাণী পোষার সঙ্গে আসলেই মানসিক সমস্যা বা রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকছে কি না।

বিশেষজ্ঞরা প্রায় ৫,০০০ ব্যক্তিকে গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করেন যাদের জন্ম ১৯৯১ বা ১৯৯২ সালে। প্রথমেই জানতে চাওয়া হয়, তাদের বেড়ে ওঠায় বিড়াল সংস্পর্শ ছিলো কি না। বা যখন তাদের মা গর্ভবতী তখন বাড়িতে বিড়াল ছিলো কি না।

ইউসিএল জানায়, ফলাফলে দেখা যায়- শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যে বিড়ালস্যের কোনো প্রভাব প্রকৃতপক্ষে নেই। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, বিখ্যাত অনেক ব্যক্তির মানসিক ব্যাধির সঙ্গে বিড়ালের বিষ্ঠাতে পাওয়া পরজীবী ‘টক্সোপ্লাজমা গনডি’ (টি. গনডি) এর সম্পর্ক থাকতে পারে।

পোষা বা বন্য বিড়ালস্য এই প্যারাসাইট বহন করে। এটি যে কোনো উষ্ণ-রক্তের প্রাণী, এমনকি মানুষকেও সংক্রামিত করতে সক্ষম।

দ্য সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন একটি জরিপ চালিয়ে দেখেছে প্রায় ৬ কোটি মার্কিন নাগরিকের শরীরে টি. গনডি পাওয়া গেছে।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংক্রামণের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। তবে টক্সোপ্লাজমোসিস-এ আক্রান্ত হলে মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে, গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যাওয়া, অন্ধ হয়ে যাওয়া, ফ্লু ধরনের রোগ হতে পারে।

“আমাদের গবেষণা অনুযায়ী, গর্ভকালীন সময়ে বা শিশুকালে বিড়াল পালন সরাসরি ঝুঁকির কারণ হয় না” বলেন ড. জেমস কিরকব্রাইড। তিনি এর মূল গবেষক।

তিনি বলেন, “আমাদের পরামর্শ থাকবে গর্ভকালে নারীরা সাবধান থাকবেন যেন টি. গনডি’তে পরবর্তীতে আক্রান্ত না হন।

।। আপডটে,বাংলাদশে সময় ০৯ : ১০ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সোমবার
এজি/এইউ

Share