এবার ভারতে মানুষের মাংসখেকো যুবকের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাঁর মানুষের মাংস খাওয়ার দৃশ্য দেখেছেন স্বয়ং মা।
ওই যুবকের নাম নাজিম মিয়া (২০)। তাঁর বাড়ি ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আমারিয়া এলাকায়। তিনি এখন কারাগারে। যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল অনলাইন এ খবর জানিয়েছে।
নাজিম মিয়ার মা বলেন, আমারিয়া এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে এক বালকের মৃতদেহের পাশে তিনি তাঁর ছেলেকে খুঁজে পান। এ সময় তিনি দেখতে পান তাঁর ‘রাক্ষস’ ছেলে সাত বছর বয়সী ওই বালকের মৃতদেহ খাচ্ছে; যার শিরশ্ছেদ করা ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রলোভন দেখিয়ে ওই বালককে তার বন্ধুদের থেকে দূরে নিয়ে গিয়ে গলা, হাত ও পা টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়। ভয়ঙ্কর এ দৃশ্য দেখার পর এক পুলিশ কর্মকর্তা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মৃতদেহটি মেঝেতে পড়েছিল এবং তার মাথা দেহের পাশে আলাদা করা ছিল।
পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, নিহত ওই বালকের পেটের চামড়া ও শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অংশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ছাড়া মেঝেতে রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল।
পুলিশ আরো জানায়, নাজিম মৃতদেহের পাশে বসেছিলেন এবং তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার আগেই স্থানীয় জনতা নাজিমকে মারধর করেন। পিলিভিটের ওই ভয়াবহ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ছুরি ও বেলচা উদ্ধার করেছে। সেখানে পুলিশ স্টেশনের বাইরে হাজার হাজার মানুষ অবস্থান নিয়ে নাজিমের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দাবি করছিল।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নাজিম মিয়া মাদকাসক্ত। ঘটনার শিকার বালক মোহাম্মদ মুনিস বাড়ির ভেতরে ছিল। যখন মুনিস বাইরে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিল, সম্ভবত তখনই নাজিম তাকে পটিয়ে বাইরে নিয়ে যান বলে স্থানীয়দের ধারণা।
নাজিম মিয়ার বিরুদ্ধে ওই বালককে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নাজিমকে যখন তদন্ত কর্মকর্তা এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন, তখন তিনি ঘটনার সম্পর্কে কিছুই বলেননি। তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন।
হিন্দুস্তান টাইমসকে পুলিশ কর্মকর্তা দেবরঞ্জন ভার্মা বলেন, ‘আমরা বিষয়টির তদন্ত সম্পন্ন করে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭: ০০ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur