বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে এবং আগের সব শর্ত বহাল রেখে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার আমাদের কাছে আবেদন করেছিলেন। আমরা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার মুক্তির মেয়াদ চতুর্থ দফায় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেবেন। বিদেশে যেতে পারবেন না। এর সঙ্গে আগে যেসব শর্ত ছিল, সেসব শর্ত বহাল থাকবে।
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে চলতি মাসের শুরুর দিকে তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
আবেদনে মতামত দিয়ে সেটি গত ৭ সেপ্টেম্বর আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় কারাজীবন শুরু করেন খালেদা জিয়া। এখন পর্যন্ত দুই মামলায় খালেদা জিয়ার মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
২৫ মাস কারাভোগের পর করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত বছরের ২৫ মার্চ ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার দণ্ড শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ছয়মাস বাড়ানো হয়।
এরপর আবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত মার্চে তৃতীয় দফায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করা হয়। চলতি সেপ্টেম্বরেই সেই মেয়াদ শেষে চতুর্থ দফায় তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হলো।