চাঁদপুর সদর ও পৌর বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, আমি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রাজনীতি করেছি। আর আমার নেতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমাদেরকে জেল হত্যা মামলা দিয়েছেন। আওয়ামীলীগকে এবং শেখ মুজিবকে হত্যা কারার জন্য যে বাহিনী করা হয়েছিলো সেই বাহিনীর প্রধান ইনুকে তিনি মন্ত্রী বানিয়েছেন।
চাঁদপুর সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ সোমবার বেলা ২ টায় চাঁদপুর শহরের পৌর ঈদগাহ মাঠে সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, আমি আওয়ামী ঘরনার লোক ছিলাম। বঙ্গবন্ধু আমাকে চীফ হুইপ করেছেন। সেই আমি জীবনের শেষ বয়সে বিএনপির চেয়ারপারসন আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেখে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি। যিনি স্বামী-সন্তান হারিয়েও স্বৈরাচারের কাছে মাথানত করেন নি।
তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিব বাকশাল কায়েম করেছে। আর শেখ হাসিনা বাবার স্বপ্ন প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। ৫ জানুয়ারি একটি প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন এটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। সেই নির্বাচনে মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায়নি। বর্তমান অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের অত্যাচারের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। মায়ের পেটেও সন্তান আজ নিরাপদ নয়। শেখ হাসিনা আজ মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে তিনি, অথচ তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছে। আপনি এই নির্বাচন কমিশনকে বাদ দিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকাররে অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেখুন জনগণ আপনাকে কয়টা ভোট দেয়।
সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামছুজ্জামান দুদু বলেন, শেখ মুজিবের কন্যা এইভাবেই মানুষ হত্য করবে, গণতন্ত্রকে হত্যা করবে এটা ভাবতে লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসছে। শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে তিনি বলেছে ১০ টাকা করে চাল, প্রতিঘরে চাকরীসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর এখন চাকরি তো দূরের কথা বরং যাদের চাকরি আছে তাদের বিতাড়িত করে আওয়ামী-ছাত্রলীগকে চাকরী দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা ওয়ান ইলেভেন সরকার এনেছে। তিনি কতোবড় রাষ্ট্রদ্রোহী হলে গণতন্ত্রকে হত্যা করেন। নির্বাচন ধ্বংস করে মানুষের ভোটের অধিকারকে হরণ করেছে।
এ সময় মেজর রফিকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার লজ্জা করে না আপনি নাকি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। অথচ আপনি পুলিশ বিজিবির সাথে আঁতাত করে শাহরাস্তি পৌরসভা নির্বাচনে রাতের আঁধারেই ভোটবাক্স ভরে ফেলেছেন। ক্ষমতার জন্য একজন মুক্তিযোদ্ধাও এতো নিচে নামতে পারে। আজকের এই সভায় দাঁড়িয়ে আমি বলতে পারি এই চাঁদপুর থেকেই শেখ হাসিনার পতনের আন্দলন শুরু হবে। তিনি আরো বলেন, হাসানুল হক ইনু বলে বেগম খালেদা জিয়া আগুন সন্ত্রাসের নেত্রী। অথচ তিনি তিনি নির্বাচন করে একবারও জামানত ফেরত পাননি।
চাঁদপুর জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিমের সভাপতিত্বে এবং সদর উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক খলিলুর রহমান গাজী ও পৌর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আক্তার হোসেন মাঝির পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সফিউদ্দিন আহমেদ, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদা বেগম হীরা, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য কামাল উদ্দিন আহমেদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আনোয়ার বাবলু, মুনির চৌধুরী, কাজী গোলাম মোস্তফা, সেলিমুস সালাম, হুমায়ুন কবির, ফেরদৌস আলম বাবুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আশিক বিন রহিম, চীফ করেসপন্ডেন্ট
|| আপডেট: ০৭:০০ অপরাহ্ন, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, সোমবার
এমআরআর