চাঁদপুর

পুলিশের হস্তক্ষেপে চাঁদপুর টেকনিক্যালে স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ

চাঁদপুর শহরতলীর টেকনিক্যাল খলিসাডুলী বন বিভাগ রোডের গাজী বাড়িতে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলো মুক্তা আক্তার সুবর্ণা (১৫) নামের এক ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে মুক্তা আক্তারের গায়ে হলুদের খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার এস আই মামুন মিয়া সর্ঙ্গীয়ফোর্স নিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ছুটে গিয়ে তিনি বিয়ে বন্ধ রাখার জন্য বলেন।

জানা যায়, মুক্তা আক্তারের পিতা তার ইসমাইল গাজী তার মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ন না হতেই ২৫ অক্টোবর তার বিয়ের দেয়ার আয়োজন করেন।
ওই ছাত্রী চাঁদপুর পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের খলিসাডুলি বন বিভাগ রোডের মোঃ ইসমাইল গাজীর মেয়ে। সে চাঁদপুর সরকারি কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে বলে জানা গেছে। তার রোল নং ৫৬।

এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষ থেকে বাল্যবিয়ে না দেয়ার জন্য মুক্তা আক্তারের পরিবারের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়।

পরদিন ২৫ অক্টোবর বুধবার সকালে ওই ছাত্রীর পিতা মোঃ ইসমাইল হোসেনসহ পরিবারের লোকজন মুক্তাকে নিয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে গিয়ে অপ্রাপ্ত বয়সে মেয়েকে বিয়ে দিবেনা শর্তে অঙ্গীরনামা দিয়ে আসেন।

অঙ্গীরনামায় মোঃ ইসমাইল হোসেন গাজী মোচলেকা দিয়ে বলেন, আইন অনুসারে আমাদের মেয়ে মুক্তা আক্তার সুর্বনার ১৮ বছর পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবো না। বিবাহ দেয়ার জন্য কোন প্রকার সহযোগিতা করবো না এবং মুক্তা আক্তারও অঙ্গীকারদ্ধ হয়ে লিখেন, আমার ১৮ বছর পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবোনা। যদি এই অঙ্গিকার ভঙ্গ করি তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে সরকারি আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করিলে আমাদের কোন প্রকার আপত্তি থাকবে না, বা কোনরুপ আপত্তি করিলে তা সর্বাদালতে অগ্রহ্য হবে। তারা অঙ্গিকারনামায় এই মুচলেকা দিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ ঘোষনা করেন।

চাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কানিজ ফাতেমা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, বাল্যবিয়ের কথা শুনে আমরা তাদেরকে নোটিশ পাঠিয়েছি। মেয়ে এবং তার বাবা এসে বাল্যবিয়ে না দেয়ার শর্তে আমাদেরকে মুছলেকা দিয়েছেন। তারা বিয়ের আয়োজন বন্ধ করেছেন। তারপরেও যদি তারা বাল্যবিয়ে দেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১:৫৯ পিএম, ২৫ অক্টোবর, ২০১৭ বুধবার
ডিএইচ

Share