ফরিদগঞ্জ

চোরাই ৬৩ গবাদী পশুর মধ্যে আরো ৮টি উদ্ধার

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার আলোনিয়া, সাহেবগঞ্জ ও বর্ডার বাজার এলাকা থেকে ৩৭টি গবাদী পশু উদ্ধারের পরের দিন আরো ৮টি গরু উদ্ধার করেছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এসব পশু উদ্ধার করা হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি শাহ আলমের নেতৃত্বে পুলিশ একটি বিশেষ অভিযানে
রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বশির দিঘীর পাড়, রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ বেপারী বাড়ির পেছন থেকে ৮ টি গরু উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ফরিদপুর জেলা শহর থেকে নৌ-যোগে মুন্সিগঞ্জ হয়ে আসার পথে চোরের খপ্পরে পড়ে ৬৩টি গরু ও মহিষ।
পরবর্তীতে ওই গরু ও মহিষ ফরিদগঞ্জ থানার আলোনিয়া, সাহেবগঞ্জ ও বর্ডার বাজার এলাকায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই এলাকা থেকে ৩৪টি গরু ও ০৪টি মহিষ উদ্ধার পূর্বক সানাউল্ল্যাহ ও কালু বেপারী নামে ২ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার গরু ব্যবসায়ী আনসার উদ্দিন মাঝি জানায়, ‘তারা ১০/১২ জন গরু ব্যবসায়ী ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলা থেকে মঙ্গলবার প্রায় ৭০ লাখ টাকা দিয়ে ৬৩টি গরু ও মহিষ ক্রয় করে। গরু বোঝাই ট্রলারটি ওই রাতেই সদরপুর উপজেলা থেকে দাউদকান্দি উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে গোপালপুর এলাকায় পৌছলে গরু চোরের দল ট্রলারের মাঝি আকবর মাঝি ও গরু ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রলারটি ছিনতাই করে।’

এ ব্যাপারে ট্রলারের মাঝি আকবর বাদী হয়ে সদরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি শাহ আলম চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, ‘চুরি হওয়া বাকী গরু এবং চোরের সিন্ডিকেটকে আটকের চেষ্টা চলছে।’

প্রতিবেদক- সানাউল হক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭: ১০ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার
ডিএইচ

Share