এক বছরের ব্যবধানে ফের গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে ‘গণবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, জনগণকে জিম্মি করে রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারের নেওয়া এ সিদ্ধান্ত অনৈতিক, অযৌক্তিক ও গণবিরোধী। দেশের জনগণ সরকারের এ গণবিরোধী সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নেবে না। আমরা অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে দেশের সাধারণ মানুষ নানামুখী সমস্যায় পড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে উৎপাদন খরচ বাড়বে, বেড়ে যাবে জীবনযাত্রার খরচ, গণপরিবহন ভাড়া। উচ্চমূল্যে গ্যাসের দাম পরিশোধ করতে গিয়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে শিল্প-কারখানা।
তিনি বলেন, সরকারের এ গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে শিল্পখাত দারুণভাবে ধাক্কা খাবে। আমাদের গার্মেন্ট খাত ভারত ও চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না। লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। যার নেতিবাচক প্রভাব শিল্পখাতের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে বাধ্য। সুতরাং, এই মুহূর্তে গ্যাসের দাম বাড়ানো যাবে না।
দাম বাড়ানোর পরিবর্তে গ্যাসের সিস্টেম লস কমানো ও অপচয় রোধের দিক নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাইকার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিটন সার উৎপাদনে গ্যাস খরচ হওয়ার কথা ২৫ হাজার ঘনফুট। আমাদের দেশে বেসরকারি খাতে প্রতি টন সার উৎপাদনে গ্যাস খরচ হয় ৪০ হাজার ঘনফুট। অন্যদিকে সরকারি খাতে প্রতি টন সার উৎপাদনে গ্যাস খরচ হয় ৪০/৫০ হাজার ঘনফুট গ্যাস।
এই ভল্গাহীন অপচয় রোধ না করে দফায় দফায় গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে খরচের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া নিঃসন্দেহে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। সরকারের এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আ ন হ আখতার হোসেন ও ইসমাইল জবিউল্লাহ।
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪: ৫০ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার
ডিএইচ