মালয়েশিয়ায় নিয়োজিত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুয়ালালামপুর বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ক্যাম্প পরিদর্শন করে বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বন্দিদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরন করেছেন।
এ সময় হাইকমিশনের ডিফেন্স প্রধান এয়ার কমোডর হুমায়ূন কবির, শ্রম শাখার কাউন্সিলর মো: সায়েদুল ইসলাম, শ্রম শাখার ২য় সচিব মো: ফরিদ আহমদ, সাংবাদিক আহমাদুল কবির এবং দূতাবাসের কল্যাণ সহকারি মো: মোকসেদ আহমদ সঙ্গে ছিলেন।
ক্যাম্প কমান্ডার মি: চন্দ্রন হাইকমিশনারকে স্বাগত জানান এবং হাই কশিনারের সঙ্গে বন্দিদের নিয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় ক্যাম্পের মি: মুইজ ও মি:আজিজও উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় কালে মি. চন্দ্রন বলেন, ‘বাংলাদেশি বন্দিরা অত্যন্ত ভাল। আমি হিন্দু আমরা দেবতাকে যে ভাবে সম্মান করি তারা সে ভাবেই আমাদের সম্মান করে। অন্যান্য দেশের বন্দিরা বিভিন্ন অপরাধে জেল খাটছে। কিন্তু বাংলাদেশি বন্দিরা শুধু অবৈধ বসবাস করায় তারা গ্রেফতার হয়ে জেল খাটছে এ টাই তাদের অপরাধ।’
হাই কমিশনার মো: শহিদুল ইসলাম ক্যাম্পের প্রধান মি: চন্দ্রকে বলেছেন যাতে বাংলাদেশি বন্দিদের কোনো অসুবিধা না হয় । বন্িেদদর দ্রুত দেশে পাঠানোর পরামর্শ দেন ক্যাম্পের এ কর্মকর্তা।
হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, দেশটির ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে মালয়েশিয়ান আইন অনুযায়ী পাসপোর্ট ও ভিসা না থাকা, পাসপোর্ট ও ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া এবং সাগর বা স্থলপথে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের পুলিশ গ্রেফতার করে বিচার ও জেল শেষে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য রাখা হয় বুকিত জলিল ক্যাম্পে। এরপর হাইকমিশন থেকে অস্থায়ী ট্রাভেল পাশ ইস্যু করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এ ক্ষেত্রে নিজেকে বিমান ভাড়া বহন করতে হয়।
বুকিত জলিল ক্যাম্পে ২০০ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরতের অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের জাতীয়তা নিরূপণ করে ট্রাভেল পাশ ইস্যু করা হচ্ছে বলে জানালেন কাউন্সিলার (শ্রম) মো: সায়েদুল ইসলাম।
ক্যাম্পে কয়েকজনের ট্রাভেল পাশের মেয়াদ শেষ হলেও দেশে ফেরত যেতে পারেনি তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশে যোগাযোগ করতে পারেনি এবং মালয়েশিয়ায় তাদের কেউ বিমান ভাড়া দেয়নি তাই দেশে যেতে পারেনি।
বাংলাদেশ হাইকমিশন এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে কাউন্সিলর (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম জানান, বন্দিশিবিরে যারা আটক রয়েছেন তাদের দ্রুত দেশে পাঠানোর সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যাদের কেউ নেই অথবা টিকিটের ব্যবস্থা হচ্ছে না তখন দূতাবাসের পাশাপাশি জনহিতৈশী কাজে নিয়োজিতদের সহযোগিতায় বিমান টিকিট দিয়ে তাদের দেশে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া দূতাবাসের শ্রম শাখার সচিবরা প্রত্যেকটি বন্দিশিবির পরিদর্শন করে বাংলাদেশিদের শনাক্ত করে পর্যায়ক্রমে তাদের দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন বলে জানালেন শ্রম কাউন্সিলর।
বশির আহমেদ ফারুক, মালয়েশিয়া
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ৫৯ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur