সুস্বাস্থ্যের জন্য যার ওপরে নির্ভর করছেন সেই আসলে শরীরের ক্ষতি করছে না তো! হ্যান্ড ওয়াশ যদি সঠিক মানের না হয় তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক হতে পারে।
ইদানীং হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার বাড়ছে। অনেকেই বাড়িতে বেসিনের পাশে রাখা লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করে নিশ্চিন্তে খাবারে হাত দেন। কিন্তু সঠিক মানের হ্যান্ড ওয়াশ কিনা সেটা আদৌ যাচাই করেন না। আর তাতেই হতে পারে বিপদ। এমন বিপদের সম্ভাবনার কথাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দেখেছে বহু প্রোডাক্টেই এমন উপাদান থাকে যা শরীরকে ব্যাক্টেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করার বদলে মারাত্মক ক্ষতি করে দেয়। আর এ কারণে বিভিন্ন সময়ে মার্কিন সরকার ২০০০ এরও বেশি সংস্থার পণ্যের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
সাধারণত যেসব হ্যান্ড ওয়াশ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বলে বিক্রি করা হয় তাতে কী কী উপাদান রয়েছে তা দেখে তবেই ব্যবহার করা উচিত। এর ট্রাইক্লোসান ও ট্রাইক্লোকার্বন নামের দুই উপাদান ব্যবহার করা হয়।
যার ফলে হাত ধুয়ে খেলেও হ্যান্ড ওয়াশের কারণে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এই দু’টি উপাদান ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করতে পারলেও শরীরের পক্ষে ভাল নয়। বিভিন্ন গবেষণা বলেছে এই রাসায়নিক শরীরে গেলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক আচরণ ও প্রজনন ক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ধরনের হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহারে ক্ষতির আরও ভয় রয়েছে। অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহারের ফলে এমন জীবানু জন্ম নিতে পারে যারা কোনো ওষুধেই মরে না। ‘ড্রাগ রেজিসটেন্ট জার্ম’ স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত খারাপ।
শুধু হ্যান্ড ওয়াশ নয় এই ধরনের ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া নাশক উপাদান সাবান, টুথপেস্ট, মাউথ ওয়াশ, ডিটারজেন্টেও থাকে। তবে কোনো ক্ষেত্রেই সাধারণভাবে জীবানুনাশকের পরিমাণ ০.৩ শতাশের বেশি হলে তা ব্যবহার করা উচিত নয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনও (হু) বিভিন্ন সময়ে এর অপকারিতা নিয়ে সতর্ক করেছে। আপনি যদি হু-এর পরামর্শ মানেন তবে হাত যদি সত্যিই খুব ময়লা থাকে তবে খাবার খাওয়ার আগে সাবানে হাত ধোয়া উচিত। আর তার পরে জীবানু মুক্ত হতে হলে অ্যালকোহল দিয়ে তৈরি প্রোডাক্ট ব্যবহার করা উচিত। এগুলো জীবানু মারে কিন্তু অন্য কোনো ক্ষতি করে না।
বার্তা কক্ষ