Home / জাতীয় / রাজনীতি / খালেদার অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থন ৫ জানুয়ারি
খালেদার অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থন ৫ জানুয়ারি

খালেদার অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থন ৫ জানুয়ারি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থন ফের পিছিয়ে আগামী বছরের ০৫ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।

এখন চলছে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদকে আসামিপক্ষের জেরা।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে খালেদা জিয়ার আবেদনে তৃতীয়বারের মতো অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থন পিছিয়ে নতুন দিন ধার্য করেন রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালত।

এ আদালতে চলছে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা দু’টির বিচারিক কার্যক্রম।

সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে রওনা হয়ে বেলা ১১টায় আদালতে হাজির হন খালেদা।

বৃহস্পতিবার ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনে খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত লিখিত বক্তব্য পাঠের দিন ধার্য ছিল। গত ০১ ডিসেম্বর লিখিত বক্তব্য পড়তে শুরু করেন খালেদা। তবে এরপরের দুই ধার্য দিনে আবেদন জানিয়ে এক সপ্তাহ করে সময় বাড়িয়ে নেন। সর্বশেষ গত ১৫ ডিসেম্বর অনুপস্থিত থাকায় ২২ ডিসেম্বর খালেদাকে হাজির থাকার নির্দেশ দেন আদালত। অন্যথায় তার জামিন বাতিল হবে বলেও জানানো হয়।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আত্মপক্ষ সমর্থন পিছিয়ে আগামী বছরের ০২ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে অবকাশকালীন ছুটি শেষ হওয়ার পরে দিন ধার্যের আবেদন জানান। আবেদনে তারা বলেন, এছাড়া এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে করা তার আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে, যা অবকাশকালীন ছুটি শেষের আগে হবে না।

দুদকের পক্ষে আছেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

এরপর অরফানেজ মামলায় হারুন-অর রশিদকে অসমাপ্ত জেরা শুরু করেছেন আসামিপক্ষ।

চ্যারিটেবল মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য দাখিল করেছেন জামিনে থাকা দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান।

অন্যদিকে অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকিরা জামিনে আছেন।

জামিনে থাকা দুই মামলার আসামিরাও আদালতে উপস্থিত রয়েছেন। তারেক রহমানের পক্ষে হাজিরা দিয়েছেন তার আইনজীবী।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

অন্যদিকে ২০০৮ সালের ০৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

২০১৪ সালের ১৯ মার্চ দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ঢাকা তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের আগের বিচারক বাসুদেব রায়। (Banglanews24)

নিউজ ডেস্ক ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ০৪ : ০০ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার
এইউ

Leave a Reply